বিক্ষোভরত চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের সরাতে জলকামান ও একাধিক সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই মুখোমুখি অবস্থান দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে সংঘটিত হয়। এর আগে সকাল থেকে তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেয় সাবেক বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদস্যদের একটি অংশ, যারা চাকরিচ্যুত হয়েছেন। দাবি আদায়ের অংশ হিসেবে বেলা ১১টার কিছু পর পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে তারা যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন। মৎস্য ভবন মোড় পর্যন্ত পৌঁছালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। কিন্তু সেখান থেকেও তারা পিছু না হটে কাকরাইল মোড়ে বসে পড়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের জানিয়ে দেয়, দশ মিনিটের মধ্যে তারা যদি যমুনা এলাকা না ছাড়ে, তবে ‘আইনানুগ ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে।
পুলিশের এই হুঁশিয়ারির পরও বিক্ষোভকারীরা সরতে অস্বীকৃতি জানালে জলকামান ব্যবহার করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে একাধিকবার সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় এবং যানচলাচলে বিঘ্ন ঘটে। বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা সাবেক বিডিআর সদস্যরা অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালের ঘটনার পর তারা বিনা বিচারে চাকরিচ্যুত হন এবং দীর্ঘদিন ধরে ন্যায়বিচার ও পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে আসছেন। সরকার তাদের দাবি উপেক্ষা করায় তারা আবারও রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল তৎপর, এবং আটক ব্যক্তিদের নামণ্ডপরিচয় বা সংখ্যা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে যমুনা ও কাকরাইল এলাকায়।