সিরাজগঞ্জে এবার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে তিল চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে, ছাড়িয়ে গেছে লক্ষ্যমাত্রাও। এ তিল কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে অনেক স্থানে। বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৭ হাজার ১৭১ হেক্টর জমিতে তিল চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। কৃষকরা লাভজনক এ চাষাবাদে এবার তা ছাড়িয়ে গেছে। এসব তিলের মধ্যে রয়েছে হাইব্রিড বারি ১, বারি ২, বারি ৩ এবং দেশিও জাতের তিল। এ চাষাবাদ সবচেয়ে বেশি হয়েছে যমুনা নদীর তীরবর্তী শাহজাদপুর, বেলকুচি, চৌহালী, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে। এছাড়া উল্লাপাড়া, তাড়াশ, কামারখন্দ ও রায়গঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ চাষাবাদ হয়েছে। এছাড়া খাল, বিল ও নদীর পাড়েও দেশি তিলের চাষাবাদ হয়েছে এবং এরইমধ্যে দেশি জাতের তিল ফুলের সমারোহ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে চরাঞ্চলে হাইব্রিড তিল চাষাবাদের ফলন ভালো হয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, প্রতিবিঘা জমিতে এবার ৩ থেকে সোয়া ৩ মণ তিল উৎপাদনের আশা করা যাচ্ছে। তবে চরাঞ্চলে হাইব্রিড তিলের উৎপাদন বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এবার তিল চাষাবাদ বেশি হয়েছে এবং অনেক স্থানে উৎপাদনও বেশি হবে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ এ লাভজনক চাষাবাদে পরামর্শ দিয়ে থাকে এবং কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকের তিল খেতও পরিদর্শন করেন। তবে এখনও পুরোদমে তিল কাটা শুরু হয়নি। এ তিল পুরোদমে কাটা শুরু হলে বাজারও জমে উঠবে।
তিল ব্যবসায়ীরা হাট বাজারে এ নতুন তিল ক্রয় শুরু করছেন। বর্তমান বাজারে হাইব্রিড তিল ১৭৫ টাকা থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি তিল কাটা শুরু ও বাজারে উঠলে আরও দাম বাড়বে। এছাড়া এ তিলের তেল বাজারে কদর কম নয় এবং তিলের লাড্ডু, ভর্তা, খাঁজা, বিস্কুটসহ বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার তৈরি হয়ে থাকে। এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আ. জা. মু. আহসান শহীদ সরকার বলেন, খরচ কম এ লাভজনক তিল চাষাবাদে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়। এ চাষাবাদে কৃষকরা দিন দিন আগ্রহ হয়ে উঠেছে। তবে এ তিল এখনও পুরোদমে কাটা শুরু হয়নি। বর্তমানে বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।