অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কেন ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ। আদেশের অনুলিপি পাওয়ার পর সরকার যথাসময়ে রুলের জবাব দিবে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
গতকাল মঙ্গলবার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, সরকার স্পষ্ট করে জানাতে চায় যে, প্রফেসর ইউনূসকে এভাবে ঘোষণা করার ইচ্ছাও তার নেই এবং প্রফেসর ইউনূসকে এ ধরনের কোনো উপাধি দেওয়ার পরিকল্পনাও সরকারের নেই। রিট আবেদনকারী নিজে থেকেই পিটিশনটি দায়ের করেছেন বলে মনে হয় এবং কীসের ভিত্তিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় সংস্কারে ভূমিকা রাখায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে গত সোমবার হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। জনপ্রশাসন, মন্ত্রিপরিষদ, প্রতিরক্ষা ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট
কর্মকর্তাদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। এ বছরের মে মাসে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য এমদাদুল হক এই রিট করেছিলেন।
