
বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত দাবিগুলো নিয়ে কাজ করতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে দিয়েছে এ সংক্রান্ত গঠিত কমিটি। প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত দাবিগুলোর যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ দিতে গঠিত কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটির সভাপতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ; সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সভায় সভাপতিত্ব করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ১ নম্বর নতুন ভবনে সভা শেষে কমিটির সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, কমিটি কেমন করে কাজ করবে আজ আমরা সেটা ঠিক করেছি। যে সমস্যাগুলো এসেছে সেগুলো আসলে আজকের সমস্যা নয়, এগুলো বহুদিন আগের সমস্যা। তাই এগুলো সমাধান করতে হলে সবার সঙ্গে আমাদের পরামর্শ করতে হবে। সেজন্য আমরা একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ করেছি। সেই ওয়ার্কিং গ্রুপে মোট ১৪ জন প্রতিনিধি থাকবেন। যে সংস্থাগুলোতে ইঞ্জিনিয়ার রিক্রুট করা হয়, সেই সংস্থা প্রধানরা এ কমিটিতে থাকবেন। একই সঙ্গে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের থেকেও চারজন প্রতিনিধি থাকবেন। মোট ১৪ জনের সমন্বয়ে এটা হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিত্ব থাকবে সেখানে। তিনি বলেন, এ কমিটি ডিপ্লোমা ও বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের বক্তব্যগুলো আগে শুনবেন। পরবর্তী কার্যদিবসে তাদের বক্তব্যগুলো শুনবেন। বিএসসি বলি আর ডিপ্লোমা বলি ইঞ্জিনিয়ার সেক্টরে যারা প্রতিধানযোগ্য আছেন, যারা বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালো ওয়াকিবহাল আছেন, তাদের বক্তব্য এই কমিটি শুনবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা আরও বলেন, অনেক আইনগত বিষয় আছে, সেগুলোর অনেক কাগজপত্র দিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই সবগুলো দেখে তারা আমাদের আবার ব্রিফ করবেন। সেই মোতাবেক আমরা এগোবো। তিন দফা দাবিতে গত দুদিন ধরে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করছেন বুয়েটসহ বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গত বুধবার তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাওয়েরও চেষ্টা করেন। এসময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। বৃহস্পতিবার সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা বলেন, সবার কাছে আমাদের একটি অনুরোধ থাকবে- যেহেতু এগুলো অনেক পুরোনো বিষয়, তাই আন্দোলন যারা করছেন তারা যাতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করেন। তাদের যা বক্তব্য আছে সেগুলো লিখিত আকারে... এখন যেহেতু ওয়ার্কিং গ্রুপ হয়েছে এ ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রধান গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, আমরা তার ফোন নম্বর প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানিয়ে দেব। তাদের যত বক্তব্য আছে ওনাকে জানিয়ে দেবেন। যারা বিভিন্ন বিষয়ে দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছেন তাদের একটি প্রতিনিধিদল সবসময় আমাদের সঙ্গে বসতে পারেন, ওয়ার্কিং গ্রুপের সঙ্গেও বসতে পারেন। জনদুর্ভোগের সৃষ্টি যাতে না করেন, এত দিনের সমস্যা এটা রাতারাতি সমাধানের বিষয় নয়। ওয়ার্কিং গ্রুপ কবে কাজ শুরু করবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ শুরু করে দিয়েছে, হয়তো প্রথম মিটিংটা হবে প্রথম কর্মদিবস রোববার। তবে তারা (আন্দোলনকারী) যখনই মনে করবেন আমাদের সঙ্গে কথা বলা দরকার, বলতে পারবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমাদের এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সমস্যাগুলো অনুধাবন করে আমাদের যা সুপারিশ তা সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে পেশ করবো।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, আমরা কমিটি হিসেবেও কিন্তু তাদের সঙ্গে আলোচনা করবো, যারা আন্দোলন করছেন কিংবা দাবি জানাচ্ছেন। আমরা তিনটি গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা করব- একটি হচ্ছে যারা আন্দোলন করছেন, তাদের অভিভাবক বা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা। যাদের কথা তারা শোনেন, তাদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করবো।
আর একটা হচ্ছে প্র্যাকটিক্যাল লেভেলে কি হচ্ছে, কেন এ সমস্যাটা হচ্ছে- এটা বোঝার জন্য সবচেয়ে বেশি যারা প্রকৌশলী নিয়োগ দেন পিডব্লিউডি, এলজিইডি, পিডিবি, তাদের সঙ্গে আমরাও বসবো। তাদের সঙ্গে যে শুধু ওয়ার্কিং গ্রুপ বসবে তা নয়, আমরাও বসবো।
এখন তো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শাটডাউন করে দেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে আশু সমাধান কি? জানতে চাইলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, যেটা বললাম, এখন এটাই সমাধান। তারা তো এখন থেকে যে কোনো সময় ওয়ার্কিং গ্রুপের সঙ্গে বসতে পারেন। এক দিকে তিন দফা দাবি আছে আরেক দিকে সাত দফা দাবি। আমাদেরতো প্রথম শুনতে হবে বুঝতে হবে। সবকিছু জানতে হবে, আমরা তো এখন ঘোষণা দিতে পারবো না তিন দফা মেনে নিলাম বা সাত দফা মেনে নিলাম। এখান থেকে দুই দফা মানলাম, ওখান থেকে এক দফা মানলাম। আগে শুনতে হবে, জানতে হবে, বুঝতে হবে। তারপরই তো করতে হবে।
ফাওজুল কবির খান বলেন, আমরা জানাতে চাই- আমরা নিরপেক্ষতার সঙ্গে কারো পক্ষপাতিত্ব না করে এ সমস্যার একটা ন্যায্য সমাধান করার চেষ্টা করব।
বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের বোঝানোর অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের বলেন, আন্দোলন তো করেছেন, সেটা তো হয়ে গেছে, সরকার তো এটা সিরিয়াসলি নিয়েছে। আমরা তো দেখছি এখন তো আন্দোলন করে কোন লাভ নেই।
সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা বলেন, একটা দাবি গ্রহণ করলে একদল খুশি হবে, আর একটা দাবি গ্রহণ করলে আরেক দল খুশি হবে। আমাদেরতো এটা বিবেচনায় আনতে হবে, এখানে একটা সেতু গড়তে হবে। যাতে দুই পক্ষই এক জায়গায় আসতে পারে। এমন একটা সমাধান যাতে করতে পারি দুই পক্ষই লাভবান হবে।
সভায় শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন। বিদেশে থাকায় আরেক সদস্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার সভায় উপস্থিত হতে পারেননি।
এছাড়া ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এর সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স-এর সভাপতি প্রকৌশলী মো. কবির হোসেনও? সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় ছিলেন কমিটির সদস্যসচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব (সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা) কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক।
অসুস্থ থাকায় বোর্ড অব অ্যাক্রেডিটেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনিক্যাল এডুকেশন, বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী তানভির মঞ্জুর সভায় আসতে পারেননি।
তিন দফা দাবিতে গত দুদিন ধরে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করছেন বুয়েটসহ বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গত বুধবার তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাওয়েরও চেষ্টা করেন। এসময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। বৃহস্পতিবার সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। গত বুধবার দুপুরে তিন দফা দাবি নিয়ে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানকে প্রধান করে আট সদস্যের কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিনদফা দাবির মধ্যে রয়েছে- নবম গ্রেডের ইঞ্জিনিয়ারিং পদ বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং প্রার্থীর কমপক্ষে বিএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে। কোটার মাধ্যমে পদোন্নতি দেওয়া যাবে না। এমনকি বিভিন্ন নামে সমমানের পদ সৃষ্টি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
দশম গ্রেডের কারিগরি পদ বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের পদের জন্য নিয়োগ পরীক্ষা ডিপ্লোমা এবং বিএসসি ডিগ্রিধারীদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি না থাকলেও ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা ছয় মাস ধরে দাবি জানিয়ে এলেও সরকার এসব দাবি পূরণে কাজ করেনি। সরকার তাদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে।
প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে সরকার দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে -এনসিপি : বিএসসি ও ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে সরকার দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির মতে, এতে আন্দোলন আরও ঘনীভূত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (শিক্ষা ও গবেষণা) ফয়সাল মাহমুদ শান্ত সই করা বিজ্ঞপ্তিতে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা ও সংকট নিরসনে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হয়, গত বুধবার বিএসসি প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীরা কাকরাইলে ‘অবস্থান’ কর্মসূচি পালন করে। একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে সবাই নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের দাবি উত্থাপন করবে এবং সরকারের দায়িত্ব হলো সব অংশীজনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছানো। ছাত্র-জনতার উত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণ এমন একটি বাংলাদেশেরই প্রত্যাশা করে। অথচ বিএসসি ও ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে পুলিশ ন্যক্কারজনক হামলা করেছে। এ ঘটনায় এনসিপি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে এবং শিক্ষার্থীদের দাবির যৌক্তিক ও কার্যকর সমাধান নিশ্চিতের আহ্বান জানাচ্ছে।
এনসিপি মনে করে, বিএসসি ও ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের নির্দিষ্ট দাবি-দাওয়ার বিষয়ে সরকারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে না পারার ব্যর্থতা আড়াল করতেই ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান-পরবর্তী শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে পুলিশ।
সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও জলকামান নিক্ষেপ করে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে আহত করা হয়েছে। নতুন বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে দুটি ভিন্ন ধারায় বিভক্ত হয়ে নিজ নিজ দাবি নিয়ে সারা দেশে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত উন্নতির জন্য এই দুটি গ্রুপই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং তাদের আরও বেশি অবদান রাখার সম্ভাবনা বিদ্যমান। তাদের মধ্যে চলমান সংকট নিরসনসহ শিক্ষা ব্যবস্থার বিদ্যমান সংকট মোকাবিলায় সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় চরম ব্যর্থতার নজির স্থাপন করছে।
বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, ছাত্র-জনতার উত্থানের পর একটি ‘শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠন করা আবশ্যক ছিল; যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল, ভোকেশনাল ও মাদ্রাসাসহ সব পর্যায়ে নানা রকমের অসঙ্গতি ও সংকট নিরসনের লক্ষ্যে সবার অংশগ্রহণমূলক প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে পারতো। এর পরিবর্তে দেখা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পুরোনো সংকটে আইনি জটিলতা তৈরি এবং নিজেদের পদণ্ডপদবি উপভোগ করতেই ব্যস্ত; যা শিক্ষার্থীদের রক্তের বিনিময়ে গঠন হওয়া সরকারের জন্য লজ্জাজনক।
এনসিপির পক্ষ থেকে অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলোর শান্তিপূর্ণ, কার্যকর ও অংশগ্রহণমূলক সমাধানের ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার হিসেবে যেকোনও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলাকারীদের শনাক্ত করে শাস্তি নিশ্চিতেরও দাবি জানিয়েছে দলটি।