
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের বদলি ও পদায়নে প্রধান প্রকৌশলীর ক্ষমতা আগের তুলনায় কিছুটা কমছে। নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে এর ওপরের প্রকৌশলীদের বদলির ক্ষমতা মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকছে। এমন নিয়ম রেখে ‘বিসিএস (গণপূর্ত) ক্যাডার কর্মকর্তাদের বদলি/পদায়ন নীতিমালা-২০২৫’ করতে যাচ্ছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গণপূর্তের প্রকৌশলীদের বদলি-পদায়ন নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। কারণ গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের বদলি ও পদায়নে কোনো নীতিমালা নেই। সবশেষ ২০২৩ সালে একটি নীতিমালা করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি। বর্তমানে প্রধান প্রকৌশলীর বদলি ক্ষমতা রয়েছে নির্বাহী প্রকৌশলী পর্যন্ত। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী থেকে ওপরের কর্মকর্তাদের বদলি করছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। নতুন নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী থেকে এর নিচের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন করতে পারবেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, প্রকৌশলীদের বদলি-পদায়নে নীতিমালার প্রয়োজন। তবে নির্বাহী প্রকৌশলীদের বদলির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের হাতে নেওয়ার বিষয়টি ঠিক হয়নি। কারণ মাঠ প্রশাসন বা এ ক্ষেত্র সম্পর্কে গণপূর্ত অধিদপ্তর ভালো ধারণা রাখে। কাকে কোথায় দিতে হবে, এটি প্রধান প্রকৌশলী ভালো জানেন। উপযুক্ত জায়গায় উপযুক্ত কর্মকর্তাকে পদায়ন করতে না পারলে, কাজে ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা আছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রশাসন অধিশাখা-১) মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘এখন গণপূর্তের প্রকৌশলীদের বদলি-পদায়নের জন্য কোনো নীতিমালা নেই। অনেক দিন ধরেই একটি নীতিমালা করার চেষ্টা হচ্ছে। এক্ষেত্রে নীতিমালা হলে শৃঙ্খলা আরও জোরদার হবে বলে আমরা মনে করছি।’ তিনি বলেন, ‘চলতি মাসের মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ করে নীতিমালাটি জারির চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে কয়েকটি মিটিং হয়েছে। খসড়ার বিষয়ে আমরা সবার মতামতও নিয়েছি।’ নির্বাহী প্রকৌশলীদের বদলির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের হাতে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে যুগ্ম-সচিব বলেন, ‘যেটা ভালো সবার মতামত নিয়ে সেটাই করা হবে।’