ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ভোটগ্রহণ অনুষদ ভবনে গণনা হবে ওএমআরে

ভোটগ্রহণ অনুষদ ভবনে গণনা হবে ওএমআরে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের (চাকসু) ভোটগ্রহণ হবে অনুষদ ভবনে। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে চাকসু নির্বাচন কমিশন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো আবাসিক হলেই ভোটকেন্দ্র থাকবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের মতো ওএমআর পদ্ধতিতেই ভোট গণনা হবে। কোন হলের শিক্ষার্থীরা কোন অনুষদ ভবনে ভোট দেবেন, তা পরে জানানো হবে। গতকাল বুধবার বেলা দেড়টায় এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন। চাকসুর আচরণবিধি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ সভা শুরু হয়। সভায় নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, গত নির্বাচন (১৯৯০ সালে) হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি স্কুলে। কারণ, ওই স্কুলের পাশেই তখন প্রশাসনিক ভবন ছিল। এবার অনুষদ ভবনে হবে। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীদের চেয়ে অনাবাসিক শিক্ষার্থী বেশি। তাঁরা হলের চেয়ে অনুষদ ভবন বেশি চেনেন।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। এসব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের ক্লাস পরিচালিত হয় আটটি অনুষদ ভবনে। তবে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বনবিদ্যা ও পরিবেশবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ক্লাস আলাদা ভবনে নেওয়া হয়। অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসন থেকে চাকসু নির্বাচনের ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। যখন যে অবস্থায় সাহায্যের দরকার হয়, আইন মেনে তাঁরা সাহায্য করবেন। এখন পর্যন্ত কোনো সংঘাত বা সংঘর্ষের আশঙ্কা নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সভায় প্রার্থী, ভোটার ও সাংবাদিকদের জন্য আচরণবিধি পড়ে শোনান নির্বাচন কমিশনার লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহ। এতে তিনি ১৭টি নির্দেশনার কথা উল্লেখ করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানীয় গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে।

অনেকে চাকসু নির্বাচনের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরী বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। সব ক্লাস ও পরীক্ষা স্বাভাবিক চলছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, তদন্ত চলছে। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব ও শহীদ আবদুর রব হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী, নির্বাচন কমিশনার আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মু. জাফর উল্লাহ তালুকদার, নির্বাচন কমিশনার লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, নির্বাচন কমিশনার ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেসের অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান চৌধুরী, শামসুন্নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ বেগম ইসমত আরা হক প্রমুখ।

এর আগে গত সোমবার চাকসু নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছিল কমিশন। এতে তালিকার বিষয়ে কারও কোনো আপত্তি থাকলে নিজ বিভাগে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। খসড়া তালিকা অনুযায়ী বর্তমানে চাকসুর ভোটার ২৫ হাজার ৮৬৬ জন। আজ বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করার কথা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী, ১৪ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু হবে। মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হবে ১৫ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। যাচাই-বাছাই হবে ১৮ সেপ্টেম্বর। প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে ২১ সেপ্টেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৩ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৫ সেপ্টেম্বর। ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণ শেষে শুরু হবে গণনা।

পক্ষপাতহীন চাকসু নির্বাচনের নিশ্চয়তাসহ ৭ দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পক্ষপাতহীন চাকসু নির্বাচনের নিশ্চয়তাসহ সাত দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে এই কর্মসূচি শুরু হয়। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ) ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হচ্ছে। সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে পক্ষপাতহীন চাকসু নির্বাচনের নিশ্চয়তা, ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী হামলার মূল হোতাদের নাম মামলায় যুক্ত করে গ্রেপ্তার, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার পূর্ণ দায়ভার গ্রহণ, শিক্ষার্থীদের আবাসনের রোডম্যাপ, আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ভাতা প্রদান, চিকিৎসাকেন্দ্রে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ এবং ২ নম্বর গেটে নিরাপত্তা জোরদার করা। গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ইফাজ উদ্দিন আহমদ, দপ্তর সম্পাদক শেখ জুনায়েদ কবির, সদস্য ট্যালেন্ট চাকমা এবং বিসন চাকমা উপস্থিত ছিলেন। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের পক্ষে শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আছাদ বিন রহমান এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের পক্ষে শাখা সভাপতি অন্বেষ চাকমা ও সেক্রেটারি সুমন চাকমা অংশ নেন।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আছাদ বিন রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সম্মতি নিয়ে আমরা সাত দফা দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তুলে ধরব।’ শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইফাজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘শহীদ মিনার থেকে গণস্বাক্ষর সংগ্রহের কর্মসূচি শুরু হয়। বিভাগগুলোতে গিয়েও স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হচ্ছে। চার দিন ধরে স্বাক্ষর সংগ্রহের পর ১৪ সেপ্টেম্বর আমাদের দাবিগুলো স্মারকলিপি আকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে পেশ করব।’

চাকসু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে একটি পক্ষ: ছাত্রশিবির

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন পেছানোর জন্য একটি পক্ষ চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রশিবির। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তোলেন সংগঠনের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আলী। চাকসুর নির্বাচনের বিষয়ে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, দীর্ঘ ৩৬ বছর পর চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। তবে কোনো মহল এই নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘৩০ এবং ৩১ তারিখ যে ঘটনা ঘটেছে, সেই ঘটনায় একটি পক্ষ শিক্ষার্থীদের উসকানি দিয়েছে। আমরা মনে করি, সেই পক্ষই চাকসু বানচালের চেষ্টা করছে।’

নির্বাচন আয়োজন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকার সমালোচনা করে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘প্রশাসন কোনো আলোচনা ছাড়াই ভোটার ও প্রার্থীর বয়সসীমা তুলে দিয়েছে, যা বিশেষ একটি ছাত্রসংগঠনকে সুবিধা দিতেই করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘লিখিত প্রস্তাব গ্রহণের পর প্রশাসন কোনো আলোচনা ছাড়াই নিজেদের মতো করে গঠনতন্ত্র সংশোধন করেছে। গঠনতন্ত্রে উপাচার্যকে সভাপতি হিসেবে একচ্ছত্র ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাজে বাধা তৈরি করবে। প্রয়োজনীয় সম্পাদক পদ না রেখে অপ্রয়োজনীয় সহসম্পাদক পদ যুক্ত করা হয়েছে। দপ্তর সম্পাদক পদটি কেবল পুরুষদের জন্য সংরক্ষণ করে প্রশাসন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।’ এ সময় চাকসুর বিভিন্ন কমিটিতে সভাপতির সীমাহীন ক্ষমতা কমিয়ে সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট সম্পাদকদের ক্ষমতা বাড়ানোর দাবি তোলেন তিনি।

নির্বাচন কমিশনে থাকা বেশির ভাগ শিক্ষক একটি দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেন শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনে থাকা একজন শিক্ষকের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলেও দাবি করেন তিনি। আলী বলেন, ‘আপনারা যদি নির্বাচন কমিশন দেখেন। সেখানে যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেটির ৬০ শতাংশ একটি সংগঠনের। আমরা মনে করছি, এটা প্রশাসন একটি পক্ষকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য এই কাজ করেছে।’

মোহাম্মদ আলী আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিচার না করায় তাঁরা অবাধে ক্যাম্পাসে চলাফেরা করছেন। জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে এ ধরনের ঘটনা শিক্ষার্থীদের জন্য হতাশাজনক। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তাঁরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন। এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, প্রশাসন তাঁদের অপরাধের বিচার করতে পারেনি। যার কারণে তাঁরা একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন। ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেওয়া এসব শিক্ষার্থীদের সুযোগ একাডেমিক পর্যায়েই সীমাবদ্ধ রাখা উচিত।’

সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের সুস্থতা কামনা এবং হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে নির্ধারিত সময়েই চাকসু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। তবে প্রশাসনের একপেশে সিদ্ধান্ত ও ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে পরামর্শের ঘাটতি আমাদের মধ্যে উদ্বেগ ও সংশয় তৈরি করেছে। ইসলামী ছাত্রশিবির মনে করে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশকে শক্তিশালী করবে।’ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ডাকসুর মতো চাকসু নির্বাচনেও ছাত্রশিবিরের প্রার্থীরা জয়ী হবেন আশাবাদ ব্যক্ত করে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমরা আশা করি, চাকসু নিয়ে যেন কোনো ষড়যন্ত্র না হয় এবং ষড়যন্ত্র হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন সেটির বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ পারভেজ।

এতে সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন রণি বলেন, ‘আমাদের চাওয়া, চাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে ২৮ হাজার শিক্ষার্থী যেন তাঁদের জন্য যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেন। প্রশাসনকে প্রত্যেক ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে বসে শিক্ষার্থীরা কী চান, সেটি বুঝতে হবে।’ সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক ইসহাক ভূঞা, শিক্ষা সম্পাদক মোনায়েম শরীফ, সোহরাওয়ার্দী হলের সভাপতি আবরার ফারাবী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত