
গুগল মানচিত্রে এসেছে বড়সড় নতুনত্ব। কোম্পানি জানিয়েছে, মানচিত্রের সব পথনির্দেশ মোডে ধাপে ধাপে যুক্ত করা হচ্ছে জেমিনি এআই (Gemini AI)। এর ফলে এতদিন পথনির্দেশে সক্রিয় থাকা গুগল সহকারীকে সম্পূর্ণভাবে বদলে দেবে জেমিনি চিহ্ন। মানচিত্রের উপরের ডানদিকের কোণে এখন দেখা যাচ্ছে নতুন এই চিহ্ন, যা সক্রিয় করলে চার রঙের আলো ফুটে ওঠে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই নীল রঙে স্থির হয়ে জানিয়ে দেয় যে পথচলার সময়ে জেমিনাই কণ্ঠ নির্দেশ নিতে প্রস্তুত।
ব্যবহারকারীরা আগের মতোই ‘হে গুগল’ উচ্চারণ করে জেমেনি এআইকে সক্রিয় করতে পারবেন। এরপর এক ধাপ বা বহু ধাপের অনুরোধ জানিয়েই পাওয়া যাবে নির্দেশ। গাড়ি চালানো, হাঁটা, সাইকেল চালানো কিংবা গণপরিবহনে যাতায়াত সব ক্ষেত্রে জেমিনাই এখন সমান দক্ষতার সঙ্গে পথ দেখাবে। চলার পথে ব্যবহারকারী ঘরে ফেরার পথ নির্দেশ, পথচলা থামানো, মাঝপথে নতুন স্থান যোগ করা, নির্দেশ শব্দ বন্ধ করা, টোল ছাড়া পথ দেখানো বা বিকল্প পথ দেখানোর মতো অনুরোধ জানাতে পারবেন।
পথের বিস্তারিত জানতে চাইলে জেমিনি এআই আরও অনেক নির্ভুলভাবে উত্তর দেবে। ব্যবহারকারী জানতে চাইতে পারেন- পরবর্তী মোড় কোথায়, কতক্ষণে গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে কিংবা গন্তব্যের আবহাওয়া কেমন থাকবে। জেমিনাইর উত্তরে থাকবে স্পষ্ট ও দ্রুত তথ্য, যা পথচলাকে করবে আরও সুবিধাজনক।
এছাড়া জেমিনি এআই সাধারণ নির্দেশের বাইরেও আরও সমৃদ্ধ কথোপকথন সমর্থন করে। ফলে পথের ধারে থাকা নিরামিষ রেস্তোরাঁ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা, কোনো স্থানে গাড়ি রাখার সুবিধা আছে কি না জানতে চাওয়া, সব কিছুই বলা যাবে কণ্ঠ নির্দেশে। যদি পরামর্শ পাওয়া কোনো স্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে শুধু বলতে হবে ‘ঠিক আছে, চল সেখানে যাই’ জেমিনি এআই নিজেই নতুন পথ নির্ধারণ করে দেবে। এমনকি প্রয়োজনে আপনার দাপ্তরিক বা ব্যক্তিগত সূচিতে নতুন আয়োজনও যোগ করে দিতে পারবে।
অ্যানড্রয়েড যন্ত্রে জেমিনি এআই মানচিত্র ব্যবহার করে কণ্ঠ নির্দেশে ডাক করা, বার্তা পাঠানো কিংবা সংযুক্ত নানা প্রয়োগে প্রবেশ করাও সম্ভব। প্রয়োজন হলে নিজের বার্তা কিংবা তথ্যের সারাংশও জানিয়ে দিতে পারে জেমিনি এআই। পাশাপাশি সঙ্গীত বা চলমান ধ্বনি নিয়ন্ত্রণের জন্যও এসেছে নতুন কণ্ঠ নির্দেশ সুবিধা, যা পথ চলার সময়ে যন্ত্র ব্যবহার আরও নিরাপদ করে তুলবে। গুগল জানিয়েছে, মানচিত্রে জেমিনি এআই (Gemini AI) সমৃদ্ধ পথনির্দেশ কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সব অ্যানড্রয়েড ও আইওএস যন্ত্রে পৌঁছে যাবে। নতুন এই ব্যবস্থায় পথনির্দেশ হবে আরও সহজ, দ্রুত ও কথোপকথনভিত্তিক, যা ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন যাতায়াতকে অসাধারণভাবে বদলে দিতে পারে।