
দিনাজপুরের উপজেলায় আগাম জাতের আলু তুলতে শুরু করেছে চাষিরা। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার কম উৎপাদন খরচে আলুর বাম্পার ফলন ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা আগাম জাতের আলু চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। জমি থেকে পাইকাররা ৬৫-৬৮ টাকা কেজি দরে আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুর জেলায় ৪৭ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে। কৃষকরা এবার আগাম জাতের আলু লাগিয়েছিল। মাত্র ৫৫-৬০ দিন পরে খেত থেকে নুতন আলু তুলতে শুরু হয়েছে। এবার আবহওয়া ভালো থাকায় কীটনাশক ম্প্রে করতে হয়নি। আলু বিক্রি করার জন্য হাটে নিয়ে যেতে হচ্ছে না পাইকাররা জমি থেকে আলু ৬৫-৬৮ টাকা কেজিতে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা বলেন, গতবছর আলুর দামটা কম ছিল উৎপাদন খরচ বেশি ছিল এবার আলুর বাজার ভালো আবার ফলন ভালো হয়েছে তাই এবার লাভ একটু বেশি হচ্ছে। দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, কৃষকরা ফসলের মাঠ থেকে আগাম জাতের আলু উত্তলন শুরু করেছে। আলু চাষিদের কৃষি অফিস থেকে সবধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আগাম জাতের আলুর ফলন তুলনামুলক কম হয় তারপরেও এবার ফলন মোটমুটি ভালো হয়েছে। কৃষকরা বর্তমান বাজারে আলু দাম বেশ ভালো পাচ্ছে। এর পরের মৌসুমে আগাম জাতের আলু লাগানোর জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। আগে ধান কেটে জমি ফেলে রাখতেন কৃষকরা এখন ৩টি ফসল উৎপাদন করছে কৃষকরা। এবার আগাম জাতের আলু হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে ২০ মেট্রিক টন। বাজারে আলু দাম ভালো থাকায় আগাম জাতের আলু চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।