
আম মৌসুমি ফল। মৌসুম যখন আসে-তখন দেশের আম বাগানের মালিকরা বিভিন্ন জাতের আম বাজারজাত করে থাকেন। বিভিন্ন বাজার, স্টেশন ও যানবাহনেও আম বিক্রেতাদের দেখা মেলে। তবে মৌসুম না হলেও টেকনাফে বিভিন্ন বাজারে এখন পাওয়া যাচ্ছে আগাম জাতের কাঁচা আম। তবে দাম বেশি। ফলে লাভবান হওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। গত বুধবার টেকনাফ পৌরসভার বাসস্টেশন সড়কের পাশে ফুটপাতে সাজিয়ে রেখে বিক্রি করা হচ্ছিল কাঁচা আম। মৌসুমের আগাম ফল কাঁচা আম দেখে অনেকে ভিড় করেছে ওই আম ব্যাপারীর কাছে। প্রতি কেজিতে ওজনে ধরছে ছয় থেকে সাতটি আম। এক একটির আমের ওজন ১৫০ গ্রামের মতো। প্রতি কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ৪৫০ টাকায়। হঠাৎ করে বাজারে কাঁচা আম দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনকে আম কিনতে দেখা গেছে। তবে দেখার জন্য ভিড় করলেও দাম বেশি হওয়ায় খুব কম লোকই আম কিনছে।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মিঠাপানির ছড়া এলাকার জাহাঙ্গীর ও বাহারছড়া ইউনিয়নের বড় ডেইল এলাকার আবদুল আমিন এর নিজের বাগানের ৩৫ কেজি কাঁচা আম নিয়ে টেকনাফ বাজারে আসেন।
এ সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী নুরুল হোসাইন ও মোহাম্মদ কাছিম ছোট-বড় আমগুলো কেজি ৪২০ টাকা করে ক্রয় করে নেন নতুন আম।
ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারে আগাম কাঁচা আম দেখে অনেকে ভিড় করছে, দাম একটু বেশি হওয়ায় অনেক লোকজন দেখে চলে যাচ্ছে। আবার অনেকে ক্রয় করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে।
বাগান মালিক জাহাঙ্গীর বলেন, বাড়ির আঙিনায় কয়েক বছর ধরে তিনটি গাছে আগাম আম পাওয়া যাচ্ছে। আম গাছে আগাম ফল আসায় ভালো দামে আম বিক্রি হচ্ছে। গাছে আরও প্রচুর আম রয়েছে। তিনি বলেন, আশপাশের লোকজনের বাড়িতে এখনো আম গাছে মুকুলও আসেনি। এ অবস্থায় আমার গাছের আম বাজারে বিক্রিয় করা যাচ্ছে। এটা খুবই আনন্দের বিষয়। এবিষয়ে টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, চলতি বছরে আবহাওয়া আম চাষের অনুকূলে থাকায় টেকনাফে প্রচুর আমের ফলন হওয়ার সম্ভবনায় রয়েছে। আবার অনেক আম বাগানে মুকুল এসেছে। বৃষ্টি না থাকায় মুকুল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় সেচের ব্যবস্থা নিতে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর আম চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন।