
সিরাজগঞ্জে এবার মৌসুমি খিরা চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। এরই মধ্যে খিরা হাট-বাজারে উঠছে। দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবার প্রায় ২৫২ হেক্টর জমিতে খিরা চাষাবাদে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। খরচ কম লাভজনক এ চাষে কৃষকরা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। শস্যভাণ্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জের চলনবিল এলাকার তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর উপজেলায় এ চাষাবাদ বেশি হয়েছে। এছাড়া যমুনা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলসহ অনান্য এলাকায় এ খিরা চাষাবাদ হয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, এবারও দেশীয় ও হাইব্রিড দুই জাতের খিরা চাষাবাদ করা হয়েছে। শস্যভাণ্ডার খ্যাত এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে কৃষকরা খিরা উত্তোলন করে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করছে এবং কৃষকেরা ভ্যান, ট্রলিসহ নানা বাহনে বস্তাভর্তি খিরা হাট-বাজারে আনছে প্রতিদিন। বিশেষ করে এসব এলাকার বর্ধনগাছা, হাটিকুমরুল, সলংগা, পাচলিয়া, বোয়ালিয়া, নওগাঁ, মোহনপুর, নলকাসহ বিভিন্ন স্থানে খিরার আড়ৎ থেকে পাইকারিরা কৃষকদের কাছ থেকে খিরা কিনছেন।
শীতের আমেজ শুরুতেই স্থানীয় হাট-বাজারে এ খিরা কৃষকেরা ৩০-৩৫ টাকা কেজি বিক্রি করছে এবং খচরা বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এদিকে এলাকায় পাইকারি ব্যবসায়ীরা কৃষকের কাছ থেকে প্রতিমণ খিরা ১১০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকায় ক্রয় করছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে তারা। এছাড়া আড়ৎ থেকেও ট্রাকযোগেও এ খিরা সরবরাহ হচ্ছে। তবে এরআগে প্রতিমণ খিরা ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা মণ বিক্রি হয়েছে। শীত ঘনিয়ে আসায় এ খিরার দাম কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক এ কে এম মঞ্জুরে মওলা আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, খিরা চাষাবাদে কৃষকদের পরামর্শসহ নানা সহযোগিতা করা হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার শস্যভাণ্ডার খ্যাত এলাকাসহ চরাঞ্চলেও খিরা চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।