ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

দ্রুততম সময়ের মধ্যে গতিসীমা বাস্তবায়ন করা উচিত

বললেন ইলিয়াস কাঞ্চন
দ্রুততম সময়ের মধ্যে গতিসীমা বাস্তবায়ন করা উচিত

সরকার ২০২৪ সালে মোটরযানের গতিসীমা নির্দেশিকা জারি করেছে। তবে এই গতিসীমা নির্দেশিকা বাস্তবায়ন এবং প্রয়োগের নির্দেশনা না থাকায় সুফল মিলছে না। তাই সরকারের উচিত দ্রুততম সময়ের মধ্যে গতিসীমা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য একটি নির্দেশিকা তৈরি করা। একই সঙ্গে সরকারের উচিত মোটরসাইকেল চালকদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড (মানসম্মত) হেলমেট নির্দেশিকা তৈরি করতে হবে।

রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশের এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন ইলিয়াস কাঞ্চন। পাশাপাশি তিনি পৃথক নতুন সড়ক নিরাপত্তা আইনের গুরুত্বও তুলে ধরেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘৪র্থ বিশ্ব সড়ক নিরাপত্তা সন্মেলন : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট প্রত্যাশা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নিসচার ভাইস চেয়ারম্যান লিটন এরশাদ। মারাকেশ সম্মেলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন ব্রাক রোড সেফটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার খালিদ মাহমুদ। মূলত, আগামী ১৮-২০ ফেব্রুয়ারি মরক্কোতে ৪র্থ বিশ্ব সড়ক নিরাপত্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে বাংলাদেশ থেকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিরা অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। সেই সম্মেলনে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের বিষয়ে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েই রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ৫০% কমিয়ে আনার জন্য মরক্কোর মারাকেশে ৪র্থ মিনিস্ট্রিয়াল সম্মেলনে অঙ্গীকার করার দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে পৃথক একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, দেশের তরুণ কিশোরসহ আপামর জনসাধারণের একটি সমন্বিত দাবি হচ্ছে সড়ক নিরাপত্তা আইনের বাস্তবায়ন।

২০১৮ সালের জুলাই মাসে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর দেশব্যাপী একটি শক্তিশালী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে এই দাবি আরো জোরালো হয়েছে। এর পর সরকার ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ পাস করে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কোয়ালিশন সদস্য বিএনএনআরসির সিইও এএইচএম বজলুর রহমান, স্টেপস এর সিইও রঞ্জন কর্মকার, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক বজলুর রহমান, সিআইপিআরবির রোড সেফটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার কাজী বোরহান উদ্দিন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের অ্যাডভোকেসি অফিসার তরিকুল ইসলাম, ব্রাকের কমিউনিকেশন অফিসার তামান্না রহমান, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির রোড সেফটি প্রকল্প কর্মকর্তা শরাফত ই আলম প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত