ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় সকলকে সোচ্চার হতে হবে

বললেন ধর্ম উপদেষ্টা
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় সকলকে সোচ্চার হতে হবে

মানুষ নামাজমুখী হলে সমাজে অপরাধপ্রবণতা কমে যায় এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় সকলকে সোচ্চার হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। গতকাল সোমবার কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া বাজারে নবনির্মিত উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। মসজিদ হলো পবিত্র ও উত্তম স্থান। যত বেশি মসজিদ নির্মিত হবে, তত বেশি মুসল্লি তৈরি হবে। মানুষ যত বেশি নামাজের দিকে ধাবিত হবে, সমাজ তত বেশি অপরাধমুক্ত হবে।

নামাজ মানুষকে সকল গর্হিত কাজ থেকে দূরে রাখে। তিনি আরো বলেন, মডেল মসজিদের মাধ্যমে দেশে ইসলামী আবহ সৃষ্টি হচ্ছে এবং এতে ধর্ম পালনের ঐতিহ্য আরও বেগবান হবে। এটি মানুষের নৈতিকতার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ধর্ম উপদেষ্টা খালিদ হোসেন বলেন, মডেল মসজিদকে কেন্দ্র করে বিশাল কর্মযজ্ঞ আবর্তিত হবে। ধর্মীয় মূল্যবোধ, ইসলামী সংস্কৃতির বিকাশ ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় এটি অনন্য ভূমিকা রাখবে। এ মসজিদ থেকেই সাম্প্রদায়িক সৌহার্দের বার্তা ছড়িয়ে পড়বে। তাই তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় সকলকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সকল ধর্মের মানুষের অবদান রয়েছে। বৈষম্যহীন দেশ গড়ে তুলতে দুর্নীতির মানসিকতা পরিহার করার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। পেকুয়া উপজেলা মডেল মসজিদটি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে। ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন (২য় পর্যায়)’ প্রকল্পের আওতায় তিনতলা বিশিষ্ট এ মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে নির্মিত এই মডেল মসজিদে ব্যয় হয়েছে ১৪ কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। এতে একসঙ্গে ৯৫০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। এছাড়া ১২০ জন মহিলার জন্য আলাদা প্রবেশপথসহ নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এ মসজিদে পুরুষ, মহিলা, অক্ষম ও বয়স্কদের ওজু ও নামাজ আদায়ের সুব্যবস্থা রয়েছে। এখানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিস, ইমাম প্রশিক্ষণ, হজযাত্রী নিবন্ধন, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, অটিজম কর্নার, এতিমখানা, মৃতদেহ গোসল, ইসলামিক লাইব্রেরি ও ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমের আবাসন ব্যবস্থা, গেস্ট রুম, কনফারেন্স রুম ও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আঃ ছালাম খান প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত