সর্বস্তরের নাগরিকদের নিয়ে এবারের একুশে ফেব্রুয়ারিতে বন্দর নগরীর কে সি দে রোডস্থ নবনির্মিত চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোর ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে শহীদ মিনার পরিদর্শনে গিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারির আগেই শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ পরিচ্ছন্ন ও রঙের কাজ শেষ করে প্রস্তুতি সম্পন্নের ঘোষণা দেন মেয়র। এ সময় মেয়র বলেন, কে সি দে রোডস্থ নবনির্মিত চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনসাধারণের প্রবেশ বন্ধ ছিল এবং এতদিন অস্থায়ী শহীদ মিনার হিসেবে মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুলে শহীদ মিনারকে ব্যবহার করা হয়েছে, সেটাও সিটি কর্পোরেশনের একটা স্কুল। আশা করছি, চট্টগ্রামের মানুষ ২০২৫ সালে এসে ২১ ফেব্রুয়ারি নতুন যে স্থাপনা আগের যে জায়গা সেই ঐতিহ্যবাহী জায়গায় তারা ফুল দেবে এবং এটা উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
সার্বিকভাবে সিটি কর্পোরেশন যেহেতু আগে থেকেই এটার ব্যবস্থাপনায় ছিল এবারও আমরা করব, আর নিরাপত্তসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পুলিশ আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করবেন। আশা করছি, এবার আলাদা একটা আমেজে হবে। কারণ অতি আগ্রহ নিয়ে চট্টগ্রামের মানুষ অপেক্ষায় আছে, শহীদ মিনারটি কীরকম হয়েছে। প্রথমবার তারা এখানে আসবে। এটার প্রতি নগরবাসীর আলাদা একটা আগ্রহ তৈরি হয়েছে। শহীদ মিনারের ডিজাইন পরিবর্তনের সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, মানুষ তো চায় এখানে আসতে। তাদের যে আগ্রহ আছে সেটাকে আমরা বন্ধ করে রাখব কেন। এটা আমাদের একটা ঐতিহ্য। এই জায়গাতেই সবাই আসতে চায়। আশা করছি এবার তাদের আশা পূর্ণ হবে। আপাততত আমরা এ বছর এখানে শ্রদ্ধা জানাই। এটার যিনি ডিজাইন করেছেন, আর্কিটেক্ট উনি এখন আমেরিকাতে আছেন। এখানে মিনারটা আরো বাড়িয়ে দেয়ার (উচ্চতা) একটা প্ল্যান আছে। কিন্তু আমরা কাজ শুরু করিনি। উনি যদি আসেন বাড়ানোর কাজ বেশি সময় লাগবে না। সেটার জন্য ডিও লেটার দিয়েছি। আল্টিমেটলি সেটার কাজও হবে।’ এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম খানসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।