ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

চট্টগ্রামে আব্দুল্লাহ আল নোমানের জানাজা শুক্রবার

চট্টগ্রামে আব্দুল্লাহ আল নোমানের জানাজা শুক্রবার

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমানের জানাজা আগামী শুক্রবার বাদ জুমা জ্বমিয়তুল ফালাহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন আবদুল্লাহ আল নোমানের ব্যক্তিগত সহকারী নুরুল আজিম হিরু। তিনি বলেন, আগামী শুক্রবার বাদ জুমা জ্বমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ও বাদে আসর রাউজান উপজেলার গহিরা হাইস্কুল মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে রাউজানের গহিরা পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। উল্লেখ্য, আবদুল্লাহ আল নোমান গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজ্বধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে চসিক মেয়রের শোক : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুর সংবাদ ছিল আমার জ্বন্য ভীষণ কষ্টের। তার হাত ধরেই আমরা রাজ্বনীতি শুরু করেছি। বিএনপির রাজ্বনীতিতে তিনি ছিলেন একজ্বন কিংবদন্তি রাজ্বনীতিবিদ। তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী অনন্য এক নেতা। বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে দলকে সুসংগঠিত করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তিনি গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার একদফার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি কেবল চট্টগ্রাম নয় বাংলাদেশের রাজ্বনীতির অঙ্গনে এক কিংবদন্তি পুরুষ। তিনি শুধু নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি ছিলেন নেতাদের নেতা। বিএনপির রাজ্বনীতিতে তিনি চিরস্বরণীয় হয়ে থাকবেন। মেয়র বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন বাংলাদেশের রাজ্বনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে তিনি ছিলেন এক অবিচল যোদ্ধা। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন এবং আজীবন জ্বনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধে তার সাহসী ভূমিকা অবিস্মরণীয়। তার মৃত্যু জাতির জ্বন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তার শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। মেয়র মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

উল্লেখ্য, আবদুল্লাহ আল নোমান ১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজ্বয়ী হওয়ার পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজ্বয়ী হওয়ার পর খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত