নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি টিনশেড বাড়িতে গ্যাসের লাইন লিকেজ হয়ে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ দুই পরিবারের আটজন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধরা হলেন- রিকশাচালক হান্নান, তার স্ত্রী নুরজাহান, মেয়ে জান্নাত, মেয়ে সামিয়া ও ছেলে সাব্বির। এছাড়া আরেক পরিবারের পোশাক শ্রমিক সোহাগ, তার স্ত্রী রুপালি ও তাদের একমাত্র দেড় বছর বয়সি মেয়ে সুমাইয়া?।
গতকাল সোমবার ভোরে ২নং ঢাকেশ্বরীর শান্তিবাগ মধুগড় এলাকার মো. ইব্রাহীম খলিলের আমেনা ভিলায় এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পরপরই তাদের উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধদের মধ্যে হান্নানের শরীরের ৪৫ শতাংশ, শিশু সুমাইয়ার ৪৪ শতাংশ, রুপালির ৩৪ শতাংশ, সাব্বিরের ২৭ শতাংশ, নুরজাহান লাকির ২২ শতাংশ, সামিয়ার ৯ শতাংশ ও জান্নাতের তিন শতাংশ পুড়ে গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, ঘটনাস্থলের দুইটি রুমের প্রায় সবকিছুই পুড়ে গেছে এবং বিস্ফোরণে বাড়ির দেয়ালের কিছু অংশে ফাটল ধরেছে। ঘরের আসবাবপত্র লন্ডভন্ড হয়ে যায়।
শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা নুরুল হক জানান, আমাদের এলাকার অনেক জায়গায় গ্যাস লাইনে লিক আছে। তিতাস গ্যাসের অফিসে আবেদন জানিয়েও আমরা কোনো প্রতিকার পাইনি। গত ২ বছর আগেও পাশের আরেকটি বাড়িতে এমন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তিনি আরও জানান, যে বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই বাড়ির নিচে দিয়ে যাওয়া ১ ইঞ্চি যে গ্যাসের পাইপটির কয়েক জায়গায় লিকেজ আছে। সেটা এলাকার সবাই জানে। বৃষ্টি হলে বাড়ির চারপাশ দিয়ে গ্যাসের বুদবুদ উঠে। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান- দগ্ধ আটজনের মধ্যে ছয়জনেরই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।