ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

দুর্ঘটনায় নিহত ছয় নৌশ্রমিকের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা প্রদান

দুর্ঘটনায় নিহত ছয় নৌশ্রমিকের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা প্রদান

গত ২৩ ডিসেম্বর চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীতে এমভি আল-বাখেরা নামক সারবাহী নৌযানে সংঘটিত দুর্ঘটনায় নিহত ৬ জন শ্রমিকের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতার চেক প্রদান করেছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেক পরিবারের হাতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে ২ লাখ টাকা এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টার বিশেষ উদ্যোগে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নোয়াপাড়া গ্রুপ থেকে অনুদান হিসেবে ৩ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়।

চেক বিতরণকালে উপদেষ্টা বলেন, এমভি আল-বাখেরা সারবাহী নৌযানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এটিকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। নির্মম এ হত্যাকাণ্ডে নিহত শ্রমিকের প্রত্যেক পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। মানবিক কারণেই ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকটি পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে উপযুক্ত ব্যক্তিকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

নিহত শ্রমিকেরা হলেন- সজিবুল ইসলাম, পিতা : দাউদ হোসেন, মহম্মদপুর, মাগুরা, মো. মাজিদুল ইসলাম, পিতা : মো. আনিচ মিয়া, মহম্মদপুর, মাগুরা, মো. সালাউদ্দিন মিয়া, পিতা : মো. আবেদ মোল্ল্যা, লোহাগড়া, নড়াইল, আমিনুর মুন্সী, পিতা : মজিবর মুন্সী, লোহাগড়া, নড়াইল, শেখ সবুজ, পিতা : মো. আতাউর রহমান, ফরিদপুর সদর, ফরিদপুর, মো. কিবরিয়া, পিতা : মো. আনিসুর রহমান, ফরিদপুর সদর, ফরিদপুর।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে নৌপথে নিরাপদে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, মাদার ভেসেল হতে পণ্য খালাস ও পরিবহনের ক্ষেত্রে বর্তমানে লাইটার জাহাজের কোনো সংকট নেই।

কিছু আমদানিকারক কর্তৃক লাইটার জাহাজসমূহকে ভাসমান গুদাম বা ফ্লোটিং ওয়ার হাউস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নৌপরিবহন অধিদপ্তর এবং বিআইডব্লিউটিএ এর ম্যাজিস্ট্রেটগণ কর্তৃক গত মাসের ১৯ তারিখ থেকে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। কোথাও কোনো পণ্য মজুদ যাতে না হতে পারে সে বিষয়ে কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী আমদানি হচ্ছে। সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। ভোজ্য তেলের আমদানি এবং দ্রুততম সময়ে ভোক্তার কাছে যাতে পৌঁছাতে পারে সে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে সরকার দেখছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত