যাত্রীদের বাড়তি নিরাপত্তার স্বার্থে মেট্রোরেলের প্রতিটি ট্রেনে গতকাল মঙ্গলবার থেকে দুইজন করে এমআরটি পুলিশ সদস্য নিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে পর্যাপ্ত এমআরটি পুলিশ সদস্য উপস্থিত রয়েছেন। গতকাল এই তথ্য জানান এমআরটি পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) সিদ্দিকী তানজিলুর রহমান। তিনি বলেন, সম্প্রতি মেট্রোরেলে পকেটমার বেড়ে গেছে। প্রায়ই যাত্রীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হচ্ছে। অনেক যাত্রী অবৈধ মালামাল নিয়ে মেট্রোতে ওঠেন। এ সব নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি ট্রেনে দুইজন করে পুলিশ থাকবে। তারা যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে। মেট্রোরেলে এমনিতেই যাত্রীর চাপ বেশি থাকে। এর মধ্যে পুলিশ সদস্যরা কীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন বা এক কোচ থেকে আরেক কোচে যাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে সিদ্দিকী তানজিলুর রহমান বলেন, এখন রমজান ও সামনে ঈদ উপলক্ষে যাত্রীর চাপ কিছুটা বেশি। এরমধ্যে মেট্রোর যেসব কোচে বেশি চাপ থাকবে, সেগুলোতে প্রতি স্টেশন নেমে কোচ পরিবর্তন করবেন পুলিশ সদস্যরা। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানায়, এখন ৬টি কোচের একটি ট্রেনে মোট ২ জন করে এমআরটি পুলিশ সদস্য থাকবেন। সেই হিসেবে চলমান ১০টি ট্রেনে ২০ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। সকাল থেকে দুপুর ও দুপুর থেকে রাত, এই ২ শিফটে তারা কাজ করবেন। এছাড়া স্টেশনগুলোতে যেসব এমআরটি পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন, তারাও থাকবেন। তবে গতকাল সকালে মেট্রোরেল প্যাসেঞ্জার কমিউনিটি-ঢাকা নামে এক ফেসবুক পেজে মিরাজ শিকদার নামে এক যাত্রী লেখেন, ভেতরে পুলিশের দরকার নাই। তারা যে জায়গা দখল করে থাকবে, তাদের জায়গায় দুইজন যাত্রী যেতে পারে। তারা বরং বাইরে দাড়িয়ে যাত্রীদের লাইনে দাঁড়ানো নিশ্চিত করতে পারে। এতে করে ওঠাণ্ডনামা করতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে না। রাশিদুল ইসলাম রুদ্র নামে অন্য এক যাত্রী লেখেন, এই দুইজন আরও ২ জন যাত্রীর জায়গা নষ্ট করবে। উল্লেখ্য, মেট্রোরেল ও স্টেশনের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে কাজ শুরু করে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পুলিশ।