ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ফের যমুনার সামনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি তথ্য আপা কর্মীদের

ফের যমুনার সামনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি তথ্য আপা কর্মীদের

অবিলম্বে দুই দফা দাবি না মানলে আবারও যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তথ্য আপা প্রকল্পের কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থানের ১৪তম দিনে ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, ‘এতদিন হয়ে গেলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে কোনো যোগাযোগ না করা দুঃখজনক। তাই কঠোর কর্মসূচি ছাড়া কোনো উপায় নেই। কারণ আমরা ন্যায্য অধিকার নিয়েই এখানে এসেছি।’ মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত এ প্রকল্পে (দ্বিতীয় পর্যায়ের) কর্মরতদের সমগ্রেডে পদসৃজনপূর্বক রাজস্ব খাতে স্থানান্তর ও কর্তনকৃত বেতন ভাতা অবিলম্বে পরিশোধের দাবিতে ঈদুল আজহার আগে গত ২৮ মে থেকে আন্দোলনে রয়েছেন তারা। ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহার দিনেও সেখানে ছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস না পেয়ে ঈদের পর দিন ৮ জুন থেকে প্রতিদিন অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টা থেকেই সেখানে অবস্থান নেন তথ্য আপা প্রকল্পের কর্মীরা। দুপুর সাড়ে ১২টায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দেড় শতাধিক কর্মী নিজেদের দাবি সম্বলিত ব্যানার সাঁটিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। তারও আগে দাবি আদায়ে গত ১ জুন কয়েক দফা বাধা অতিক্রম করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন তারা। এ সময় আন্দোলনের পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপিও দেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। বরং সেদিন শেষ বিকালে পুলিশ তাদের জোর করে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। তাই দাবি আদায়ে অনড় থাকেন তথ্য আপারা।

আন্দোলনকারীদের একজন খুরশীদা বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছ থেকে করুণা চাইনি। আমাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে এসেছি। প্রিয়জনদের ছেড়ে ঈদের দিন এখানে থাকলেও সরকারের কোনো পদস্থ কেউ আমাদের দেখতেও আসেননি। অথচ আমরা কোনো অন্যায় আবদার নিয়ে আসিনি।’ আন্দোলনকারীদের সূত্রে জানা গেছে, তাদের চাকরি স্থায়ী করার কথা বলে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে প্রতি মাসে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ২৪০০ ও সহকারীদের বেতন থেকে ১৩৯০ টাকা কেটে নেয় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। কিন্তু দাবি পূরণের কোনও অগ্রগতি না দেখে গত ফেব্রুয়ারিতে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আশ্বাস দিয়েছিলেন। মাঝে তিন মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তথ্য আপা প্রকল্পের কর্মীরা জানান, অন্যান্য সরকারি চাকরির মতো পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৮ সালের নভেম্বরে এ প্রকল্পে যোগ দেন তারা। ৪৯২টি উপজেলায় তথ্যকেন্দ্রে একজন করে তথ্যসেবা কর্মকর্তা (১০ম গ্রেড), দুই জন তথ্যসেবা সহকারী (১৬তম গ্রেড) ও একজন করে অফিস সহায়ক (২০তম গ্রেড) মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৯৬৮ জন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত রয়েছেন। তৃণমূল নারীদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, আইন, জেন্ডার, ব্যবসা, পরিবার পরিকল্পনা এবং সাইবার সিকিউরিটি এই ৮টি বিষয়ে জরুরি তথ্য সরবরাহ ও সহায়তা দিয়ে আসছেন দেড় হাজার কর্মী।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত