ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক লাখ গাছ রোপণ

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক লাখ গাছ রোপণ

নারায়ণগঞ্জকে সবুজ নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে ‘গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন’ কর্মসূচির আওতায় ৬০ দিনে এক লাখ গাছ রোপণ কার্যক্রম শেষ করেছে জেলা প্রশাসন। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায়? সর্বশেষ গাছ রোপণ করে এক লক্ষ গাছ রোপণের মাইলফলক স্পর্শ করল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। এরমধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জে ‘গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন’ কর্মসূচির আওতায় সবুজে ঘেরা প্রাচ্যের ডান্ডি গড়ার দীপ্ত যাত্রা শুরু হলো। জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ জানায়, শিল্পনগরী নারায়ণগঞ্জে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় বায়ু দূষণের ফলে শহরের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় বনায়নের উদ্যোগ নেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন ও নগরায়ণের লক্ষ্যকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ জেলাকে সবুজ ও টেকসই শহরে রূপান্তরের অংশ হিসেবে তার এই উদ্যোগ নেয়া। সেই লক্ষ্যে ‘নারায়ণগঞ্জ হবে সবুজে ঘেরা, প্রাচ্যের ড্যান্ডি হবে বিশ্ব সেরা’- এই প্রত্যয় নিয়ে গত ১০ মে ‘গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ’ কর্মসূচির আওতায় এক লাখ গাছ রোপণ কর্মসূচি শুরু করে জেলা প্রশাসন। ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ৬০ দিনে ১৮০.৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তাজুড়ে রোপণ করা হয় ফলজ, বনজ ও ঔষধিসহ দেশি বিদেশি বিভিন্ন প্রকারের গাছ। জানাগেছে, গত দুই মাসজুড়ে জেলার ৫টি উপজেলা, ৩৯টি ইউনিয়ন, ৫টি পৌরসভা এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে ব্যাপক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পরিচালিত হয়। এ সময়ে ১১৭টি নির্ধারিত স্পট, ৪২টি সরকারি প্রতিষ্ঠান, ৩১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ১৮০.৩ কিলোমিটার সড়ক এবং ৪ কিলোমিটার খালপাড়ে সর্বমোট এক লাখ গাছ রোপণ করা হয়। দেশি-বিদেশি ৪৮টি প্রজাতির গাছের মধ্যে রয়েছে চেরি, গোলাপি ট্রাম্পেট, জাকারান্ডা, ফক্সটেল পাম, গ্লোরিয়া সিরিয়া ও রেইন ট্রি প্রভৃতি। বিশেষভাবে নজরকাড়া অংশ হিসেবে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে রোপণ করা হয়েছে ৩ হাজার দেবদারু গাছ, যা পুরো করিডোরটিকে সবুজ ও মনোরম পরিবেশে রূপান্তর করেছে। পাশাপাশি হাজিগঞ্জ দুর্গ, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরসহ জেলার ঐতিহাসিক ও পর্যটন সম্ভাবনাময় এলাকাগুলোতেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সবুজায়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এই বিশাল কর্মসূচিতে জেলার রাজনৈতিক নেতারা, সুশীল সমাজ, ছাত্র সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, পরিবেশ সচেতন সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত