ঢাকা শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সুশাসনের ঘাটতি মোকাবিলায় টিআইবির ১৫ সুপারিশ

সুশাসনের ঘাটতি মোকাবিলায় টিআইবির ১৫ সুপারিশ

রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকার ও বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর অব্যাহত কৌশলগত প্রাধান্য ও অতিনির্ভরশীলতাই নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির পথে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুশাসনের ঘাটতি, নীতিগত অবহেলা এবং স্বার্থান্বেষী মহলের যোগসাজশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে পরিবেশগত ও অর্থনৈতিকভাবে দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকি তৈরি করছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পরিচালিত ‘বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে। জ্বালানি খাতের মহাপরিকল্পনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে প্রান্তিক পর্যায়ে রেখে জীবাশ্ম জ্বালানি লবির স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে, যার ফলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। বিদ্যমান প্রাতিষ্ঠানিক ও নীতিগত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে একটি টেকসই ও স্বচ্ছ জ্বালানি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ১৫ দফা সুনির্দিষ্ট সুপারিশ পেশ করেছে টিআইবি।

গতকাল টিআইবির ধানমন্ডিস্থ কার্যালয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা, নির্বাহী-ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের এবং রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ বদিউজ্জামান। সংবাদ সম্মেলনটি পরিচালনা করেন আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। টিআইবির এনার্জি গভর্নেন্স বিভাগের কো-অর্ডিনেটর নেওয়াজুল মওলা এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট কো-অর্ডিনেটর আশনা ইসলাম প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।

আমূল পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি করা হলেও বাস্তবে বিদ্যুৎখাত এখনও জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর প্রায় সম্পূর্ণ নির্ভরশীল উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিদ্যুৎখাতে স্বার্থের দ্বন্দ্ব পুষ্ট নীতিদখলের মাধ্যমে উদ্দেশমূলকভাবে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর অতিনির্ভরশীলতা সৃষ্টি করা হয়েছে, এর ফলে একদিকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে উত্তরণের যে সম্ভাবনা ও অঙ্গীকার আছে তা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না এবং অন্যদিকে জীবাশ্মনির্ভরতা অধিকতর স্থায়ীত্ব লাভ করেছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাজেট বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় একেবারেই নগণ্য। নীতিগতভাবে প্রাধান্যের দিক থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিখাত যথাযথ গুরুত্ব পায়নি বরং অবহেলিত হয়েছে। জ্বালানি খাতের নীতি-কৌশল ও পরিকল্পনায় নানাবিধ অসঙ্গতি অস্পষ্টতা তৈরি করা হয়েছে।

বিশেষত, সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি) জীবাশ্ম জ্বালানি লবির প্রভাবে জীবাশ্ম জ্বালানিকে কেন্দ্র করে প্রণীত, যে কারণে নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে নীতিগত, প্রাতিষ্ঠানিক ও আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে বাস্তবিক নবায়নযোগ্য জ্বালানির পরিবর্তে অপরীক্ষিত তথাকথিত ‘গ্রিন এনার্জি’ কে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।’ সূত্র: সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত