ঢাকা শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী

চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী

চীন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি বা সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে চাইনিজ লিটারেচার রিডার্স ক্লাব। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর বারিধারার আপন ফ্রেন্ডশিপ এক্সচেঞ্জ সেন্টারে ক্লাবটির উদ্বোধন করা হয়। চীনের রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-আয়োজনে এবং আপন ফ্রেন্ডশিপ এক্সচেঞ্জ সেন্টারের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর মাধ্যমে দু’দেশের সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় আরও গভীর ও গতিশীল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ভক্তারা।

অনুষ্ঠানে চাইনিজ লিটারেচার রিডার্স ক্লাবের ফলক উন্মোচন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর লি শাওফেং এবং চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-এর বাংলা বিভাগের পরিচালক ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী।

বাংলাদেশের খ্যাতনামা লেখক, প্রকাশক, গবেষক ও সাহিত্যপ্রেমীরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী বক্তব্যে ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী বলেন, ‘চীনের রয়েছে পাঁচ হাজার বছরের দীর্ঘ ইতিহাস ও সমৃদ্ধ সাহিত্য ঐতিহ্য। এই ক্লাবের মাধ্যমে বাংলাদেশের পাঠকদের চীনা সাহিত্য সম্পর্কে জানার সুযোগ তৈরি হবে। এতে উভয় দেশের মধ্যে সাহিত্য বিনিময় আরও বাড়বে। এ উদ্যোগে চীনা দূতাবাস সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।’

বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক আহমেদ রিয়াজ বলেন, চীন ও বাংলাদেশের লোকগাথার রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস। দু’দেশের সাহিত্য বিনিময়ের সূচনা হতে পারে এই লোকগাথা আদান-প্রদানের মাধ্যমেই। এটি এমন শক্তিশালী এক সেতু, যার মাধ্যমে সাহিত্যের অন্য সব শাখার বিনিময়ও বাড়বে।

প্রসিদ্ধ পাবলিশার্সের প্রকাশক প্রদীপ রায় বলেন, এই ক্লাবের মাধ্যমে চীনের বই বাংলায় এবং বাংলাদেশের বই চীনা ভাষায় অনুবাদের সুযোগ তৈরি হবে। চীনা বই অনুবাদের ক্ষেত্রে কপিরাইট নীতিমালা আরও সহজ করা যেতে পারে। পাশাপাশি দু’দেশের বইমেলায় প্রকাশকদের পারস্পরিক অংশগ্রহণ এবং চীনের আধুনিক প্রকাশনা প্রযুক্তি বিনিময়ের সুযোগও রয়েছে।

সিএমজি বাংলার ঢাকা অফিসের ফিচার সম্পাদক ও লেখক ফয়সল আবদুল্লাহ বলেন, ‘ভাষাগত সীমাবদ্ধতার কারণে চীনের সমৃদ্ধ সাহিত্য ভান্ডারের বাংলা অনুবাদ বাংলাদেশের পাঠকরা এখনও সেভাবে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। এক্ষেত্রে চীনা বইয়ের অনুবাদ, প্রকাশনা ও প্রচারে শক্তিশালী প্ল্যাটফর্মের কাজ করবে চাইনিজ লিটারেচার রিডার্স ক্লাব। আবার এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশি বইয়ের চীনা অনুবাদ করা হলে চীনা পাঠকরাও আমাদের গল্প-কবিতা পড়তে পারবেন। চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর লি শাওফেং বলেন, ‘সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ভান্ডারকে ভিত্তি করে চাইনিজ লিটারেচার রিডার্স ক্লাব প্রতিষ্ঠা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। এই প্ল্যাটফর্মে চীন-বাংলাদেশের লেখক, গবেষক ও পাঠকরা গভীর সংলাপে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।

তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উভয় দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের কৌশলগত দিক নির্দেশনায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। জনগণের মধ্যে বিনিময়- বিশেষ করে সাহিত্য ও চিন্তার আদান-প্রদান এই সম্পর্কের ভিত্তিকে আরও মজবুত করবে। বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের আওতায় ‘জনগণের সঙ্গে জনগণের সংযোগ’-এর একটি উজ্জ্বল উদাহরণ এই রিডার্স ক্লাব।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত