ঢাকা সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাইরে পড়ে আছে অ্যাম্বুলেন্স

রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাইরে পড়ে আছে অ্যাম্বুলেন্স

রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরের অভিভাবকহীন অবস্থায় পড়ে আছে কোটি টাকার বেশি মূল্যের একটি লাইফ সার্পোট (আইসিইউ) এম্বুলেন্স। উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরের উত্তর পশ্চিম কোণায় একটি ছোট জায়গায় উপড়ে টিন সেটের নিচে গাড়িটি অব্যহৃত আবস্থায় পড়ে আছে গত পাঁচ বছর ধরে। গাড়িটির চতুরদিকে ঘিরে ধরতে মাটিতে বেড়ে উঠা লতাপাতা আর স্যাঁত স্যাঁতে পরিবেশে। এম্বুলেন্সটি গায়ে লেখা রয়েছে ফ্ররম দ্যা পিপলস অব ইন্ডিয়া টু দ্যা পিপলস অব বাংলাদেশ। উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন দামি গাড়িটি যেখানে এনে রাখা হয়েছিল, ঠিক সেখানে এখনও আছে। বলা যায় এখন এই বিশেষায়িত গাড়িটি দেকবালে অভাবে এক রকম অভিভাবকহীন পরিত্যক্ষ। জানা যায় এই বিশেষায়িত এম্বুলেন্সটি করোনা মহামারির সময় রাউজানে আনা হয়েছিল। তখন স্থানীয় প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছিল রাউজানের করোনাক্রান্ত মানুষের জন্য এটি উপহার হিসেবে দিয়েছিল ভারত সরকার। দুই হাজার সালের শেষের দিকে এম্বুলেন্সটি গ্রহণ করেছিলেন তখনকার স্থানীয় সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরী।

ওই সময় অ্যাম্বুলেন্সটি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে খোলা জায়গা রাখা হলেও কিছুদিন পর এটি নিয়ে রাখা হয় একটি ছোট জায়গায় উপরে টিন সেট দিয়ে। স্বাস্থ্য কেন্দ্র সূত্রে জানা যায় এটি আনার পর থেকে এক মুহূত্বের জন্যও ব্যবহার করা হয়নি। উপজেলা পরিষদের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায় ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থিত সাবেক সাংসদ সকলকে জানান রাউজানের করোনাক্রান্ত রোগীদের সেবায় ভারত সরকার এই বিশেষায়িত গাড়িটি তাকে উপহার হিসাবে দিয়েছেন। তিনি ভারত সরকারকে এই উপহারের জন্য ধন্যবাদ প্রস্তাব গ্রহণের জন্য অনুরোধ করলে সভায় প্রস্তাবটি পাস হলে রেজুলেশন আকারে এটি গৃহীত হয়। দামি এই গাড়িটি এভাবে পড়ে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান (টিএইচও) বলেন গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে একাধিকবার মতামত চাইলেও তাদের পক্ষ থেকে ইতিবাচক কোনো পরামর্শ পাওয়া যায়নি। যেহেতু এই গাড়িটি সেই সময় সরকারিভাবে স্বাস্থ্য বিভাগকে হস্তান্তর করা হয়নি সেহেতু স্বাস্থ্য বিভাগ গাড়ির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পাচ্ছে না বলে এই কর্মকর্তার অভিমত। অবশ্য তিনি যোগ করেন গাড়িটি ব্যবহার অথবা উন্নত পরিবেশে সংরক্ষণ করার মতো স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে কোনো লজিস্টিক সার্পোট তার কাছে নেই। তাছাড়া গাড়িটি যেসব রোগী পরিবহনের জন্য দেয়া হয়েছে, সেই ধরণের রোগীও রাউজানে নেই। এই নিয়ে আর কোনো তথ্য তিনি দিতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। রাউজানে সচেতন মহলের দাবি রাউজানে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গরীব মুমূর্ষ রোগী পরিবহনে এই আইসিইউ এম্বুলেন্স ভূমিকা রাখতে পারতো।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত