ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বেকার হাজারও শ্রমিক

এক বছরে বন্ধ ১৮৫ পোশাক কারখানা

* বিজিবিএর মতে উৎপাদক ও বায়িং হাউসগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় ছাড়া টেকসই শিল্পায়ন সম্ভব নয়। তারা সরকার ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে যৌথভাবে সমাধান খোঁজার আহ্বান জানায়
এক বছরে বন্ধ ১৮৫ পোশাক কারখানা

গত এক বছরে দেশে ১৮৫টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বেকার হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে উৎপাদন কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ)। রাজধানীতে সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। বিজিবিএর সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন পাভেল বলেন, ‘ক্রমাগত কারখানা বন্ধ হওয়া এবং উৎপাদন হ্রাসের ফলে বিদেশি ক্রেতাদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। রপ্তানি আদেশও আগের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে।’ তিনি জানান, গত দুই মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৫-৬ শতাংশ কমেছে। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং দেশের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা যা একত্রে শিল্পখাতের ওপর চাপ তৈরি করছে। সংগঠনের নেতারা আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত পোশাক মেলায় বাংলাদেশের উপস্থিতি এখন আগের চেয়ে কম। উদ্যোক্তারা অংশ নিলেও উৎপাদন ও বায়িং হাউস সংশ্লিষ্ট অনেক প্রতিনিধিকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, ফলে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড প্রমোশন ব্যাহত হচ্ছে। বিজিবিএ মনে করে, উৎপাদক ও বায়িং হাউসগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় ছাড়া টেকসই শিল্পায়ন সম্ভব নয়। তারা সরকার ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে যৌথভাবে সমাধান খোঁজার আহ্বান জানায়। সংগঠনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ পিন্টু, ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইফুর রহমান ফরহাদ এবং মহাসচিব জাকির হোসেনও ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে বিদেশি ক্রেতারা সতর্ক করে জানিয়েছেন, দ্রুত উৎপাদন সংকট নিরসন করা না গেলে নতুন ক্রয়াদেশ পাওয়া কঠিন হবে। তাদের মতে, শিল্প উৎপাদন ও রপ্তানি টিকিয়ে রাখতে সরকারের কার্যকর হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত