ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ফের দরপতনে শেয়ারবাজার

ফের দরপতনে শেয়ারবাজার

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস গতকাল মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে বড় উত্থান প্রবণতা দেখা গেলেও শেষদিকে ঢালাও দরপতন হয়েছে। ফল এক কার্যদিবস কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী দেখা দেওয়ার পরেই শেয়ারবাজারে আবার দরপতন হলো। এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক কমেছে।

এর আগে টানা পাঁচ কার্যদিবস পতনের পর সোমবার ডিএসইতে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিললো। ডিএসই’র মতো অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এ বাজারটিতে মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে সিএসইতে টানা সাত কার্যদিবস দরপতন হলো। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, লেনদেনের শুরুর দিকে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় লেনদেনের ২০ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। তবে প্রথম দুই ঘণ্টার লেনদেন শেষ হতেই বাজারের চিত্র বদলে যেতে থাকে। দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় নাম লেখায়। লেনদেনের শেষদিকে ভালো-মন্দ সব খাতের শেয়ারের ঢালাও দরপতন হয়। এতে দাম কমার তালিকা বড় হওয়ার পাশাপাশি মূল্যসূচকের মোটামুটি বড় পতন দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১০৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩৩টির। আর ৫৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৬৯টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১১৯টির দাম কমেছে এবং ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৮টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৬৪টির দাম কমেছে এবং ৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৮টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫০টির এবং ১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৩টির দাম কমেছে এবং ১৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৯৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৯৫ পয়েন্টে নেমে গেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১১১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সবকটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬০৬ কোটি ৪২ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৩০ কোটি টাকা। এ হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৭৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩০ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার। ২৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, রবি এবং প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স। অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৫৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৮টির এবং ২৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত