
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এবং তার স্ত্রী সিতারা আলমগীরের বিরুদ্ধে ২১৬ কোটি টাকার মানিলন্ডারিং মামলার অভিযোগ এনেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদকের তদন্তে দেখা যায়, তাদের নামে ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ৭৯টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বাংলাদেশি ২১৬ কোটি ১ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯ টাকা এবং ৬ হাজার ১৮৮ মার্কিন ডলার জমা রাখা হয়। একই সময়ে তারা ২০৯ কোটি ১৭ লাখ ৬৩ হাজার ৬৪০ টাকা এবং ৬ হাজার মার্কিন ডলার উত্তোলন করেন। দুদকের অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয়েছে যে, আসামিরা ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করার উদ্দেশ্যে এসব অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন। তাদের এ কর্মকাণ্ড মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে উল্লেখ করেছে দুদক। দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে আসামিরা ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অপরাধলব্ধ অর্থ এক হিসাব থেকে অন্য হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন। গত বছরের ২৩ অক্টোবর ফারমার্স ব্যাংকের ৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীরসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।