পরকালে মানুষ তার সঙ্গে থাকবে, সে যাকে ভালোবাসে। ঈমানের জন্য নবী করিম (সা.) এর ভালোবাসা শর্ত। নবীজিকে (সা.) ভালোবাসার সবচেয়ে উত্তম পন্থা হলো তাঁর সিরাত বা জীবনী, স্বভাব-বৈশিষ্ট্য ও চরিত্রের পরিচয় অর্জন করা। সুতরাং নিজেদের নবীর পরিচয় জানুন, যাতে তাঁর মর্যাদা ও অবস্থান জানতে পারেন। তাহলে তাঁর ভালোবাসা ও আনুগত্য অর্জিত হবে। ‘তোমাদের কেউ খাঁটি মোমিন হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত নবী করিম (সা.) তার কাছে নিজের জীবন, সন্তান, নিজের বাবা, সম্পদ ও সব মানুষের চেয়ে বেশি প্রিয় না হবে।’
আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই তোমাদের মধ্য থেকেই তোমাদের কাছে এক রাসুল এসেছেন। তোমাদের যা বিপন্ন করে তা তাঁর জন্য কষ্টদায়ক। সে তোমাদের মঙ্গলকামী, মোমিনদের প্রতি সে দয়ার্দ্র ও পরম দয়ালু।’ (সুরা তওবা : ১২৮)। তিনি তাঁর পথনির্দেশনাকে শ্রেষ্ঠত্ব ও পূর্ণতার মানদ- বানিয়েছেন। ‘তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও আখেরাতকে চায় এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে তাদের জন্য তো রাসুলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ (সুরা আহজাব : ২১)। আল্লাহ নবীজির দিকনির্দেশনা, চরিত্র, জ্ঞান, বুদ্ধি, কথা ও কাজের সত্যায়ন করেছেন, পূর্ণাঙ্গরূপে তাঁর বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রশংসা করেছেন। তিনি তাঁর চিন্তা, দৃষ্টি, সততা, শিক্ষা, চরিত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর পবিত্রতা সম্পর্কে বলেন, ‘তোমাদের সঙ্গী বিভ্রান্ত নয়, বিপথগামীও নয়। এবং সে মনগড়া কথাও বলে না।’ (সুরা নাজম : ২-৩)। তাঁর মহৎ চরিত্র সম্পর্কে বলেন, ‘নিশ্চয় আপনি মহান চরিত্রের ওপর প্রতিষ্ঠিত।’ (সূরা কলম : ৪)।
আল্লাহ তায়ালা নিজের সব বান্দাকে সত্যপন্থি হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু তাদের কাছে শয়তানরা এসে দ্বীন থেকে তাদের বিচ্যুত করেছে। তাদের বৈধ বিষয়াদিকে অবৈধ বানিয়েছে। তাদের আল্লাহর সঙ্গে শিরক করতে আদেশ করেছে, যার কোনো ভিত্তি আল্লাহ প্রদান করেননি। আল্লাহ পৃথিবীবাসীর দিকে দৃষ্টি দিলেন, আসমানি কিতাবধারী অবশিষ্ট কিছু লোক ছাড়া আরব-অনারব সবার প্রতি তিনি অপ্রসন্ন হলেন। সেই অবশিষ্টদের মধ্য থেকে উৎকৃষ্টতম মানবরতœ, গৌরব ও মর্যাদার মহিরুহ, কল্যাণ ও শ্রেষ্ঠত্বের আধার মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিবকে নির্বাচন করলেন। তিনি ছিলেন আরবি কোরায়েশি হাশেমি। তার জন্য বেছে নিলেন সর্বোত্তম স্থান। তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন, বেড়ে উঠেছেন এবং নবুয়ত লাভ করেছেন আদি জনপদ, ওহির সূতিকাগার মক্কায়। হস্তীবাহিনীর ঘটনার বছরে রবিউল আউয়াল মাসে নবী ঈসা ইবনে মারইয়াম (আ.) জন্মের প্রায় ৬৩২ চান্দ্র বছর পর তার জন্ম হয়। ৪০ বছর বয়সে মক্কায় তিনি নবুয়তপ্রাপ্ত হন। তেষট্টি বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) পিতৃ হারানোর তিক্ততা নিয়ে জীবন কাটান। মাতৃগর্ভে থাকাকালীন তাঁর বাবা মারা যান। ৬ বছর বয়সে তাঁর আম্মা মৃত্যুবরণ করেন। তখন তাঁর দাদা আবদুল মুত্তালিব ২ বছর তাঁকে দেখভাল করে মারা যান। তারপর তাঁর চাচা আবু তালেব তাঁকে নিজের সংসারে টেনে নেন। নবুয়তের দশম বছরে মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি তাঁকে আগলে রাখেন, সুরক্ষা করেন এবং তাঁর পক্ষে প্রতিরক্ষা করেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন মা-বাবার একমাত্র সন্তান। তাঁর কোনো ভাইবোন নেই। আল্লাহ তাঁর মধ্যে কল্যাণকর শ্রেষ্ঠ গুণাবলি ও সহজাত স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যের সমন্বয় করেন। তিনি ব্যবসা করেছেন। একাধিকবার নিজের চাচার সঙ্গে এ সূত্রে সিরিয়ায় গমন করেন। খাদিজা বিনতে খুয়াইলিদ (রা.) এর বাণিজ্যের দায়িত্ব নিয়ে সফর করেন। তদ্রƒপ তিনি দিনারের নির্দিষ্ট অংশের বিনিময়ে মক্কাবাসীর জন্য মেষ চরিয়েছেন।
পঁচিশ বছর বয়সে খাদিজা (রা.) কে বিয়ে করেন। তিনি ছিলেন নবীজির সর্বোত্তম সহযোগী ও হিতাকাক্সক্ষী। ইবরাহিম (রা.) ছাড়াÑ যার মা ছিলেন মারিয়া কিবতিয়া (রা.)Ñ নবীজির (সা.) সব সন্তান খাদিজা (রা.) এর গর্ভে জন্ম নিয়েছেন।
যখন তিনি ৪০ বছর বয়সে উপনীত হলেন, আল্লাহ তাঁকে রাসুল হিসেবে নির্বাচন করে প্রেরণ করলেন। তাঁর দ্বারা নবী-রাসুলের ধারার সমাপ্তি ঘটালেন। তিনি আল্লাহর একত্ববাদ, শিরক থেকে মুক্ত থাকা, কল্যাণকর স্বভাব-চরিত্রের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ, সৎকর্মের আদেশ ও যাবতীয় মন্দকর্ম, অন্যায় ও দুষ্কৃতিতে বাধাদানের দাওয়াত দেওয়া শুরু করেন। এভাবে তিনি মক্কায় ১৩ বছর গোপনে-প্রকাশ্যে দিনরাত দাওয়াত দিয়েছেন। মক্কাবাসী তাদের কানে আঙুল দিয়ে তা অবজ্ঞা করেছে। বড় বড় চক্রান্ত করেছে। কাপড় দিয়ে তাদের মুখ আড়াল করে রেখেছে। নাছোড়বান্দা হয়ে দম্ভ দেখিয়েছে। ঔদ্ধত্য ও গোঁয়ারতুমি করেছে। নবী (সা.) কে কষ্ট দিয়েছে। তাঁকে বিদ্রƒপ ও উপহাস করেছে। জাদু, গণকবৃত্তি ও উন্মাদ বলে তাঁকে অভিযুক্ত করেছে। তাঁর অনুসারী ও সমর্থকদের ওপর বিশাল সংকট নেমে এসেছে। মক্কাবাসী তাদের নির্যাতন করে উদ্বাস্তু বানিয়েছে। ‘তারা তাদের নির্যাতন করেছিল শুধু এ কারণে যে, তারা পরাক্রমশালী ও প্রশংসিত আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে।’ (সুরা বুরুজ : ৮)।
আল্লাহ তাঁর নবীকে পবিত্র ভূমি প্রিয় মদিনায় হিজরতের অনুমতি দেন, যা হবে সর্বোত্তম অবস্থানস্থল। যেখানে আছে নীড় ও ঈমান। যেখানে ঈমান হবে সংহত। সেখানে আছে আল্লাহর সৈনিক ও আনসার। ‘আর তাদের জন্যও, মুহাজিরদের আগমনের আগে যারা এ নগরীতে বসবাস করেছে ও ঈমান এনেছে, তারা মুহাজিরদের ভালোবাসে এবং মুহাজিরদের যা দেওয়া হয়েছে তার জন্য তারা অন্তরে আকাক্সক্ষা পোষণ করে না। তারা তাদের নিজেদের ওপর অগ্রাধিকার দেয় নিজেরা অভাবগ্রস্ত হলেও। তাদের অন্তরের কার্পণ্য থেকে মুক্ত রাখা হয়েছে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা হাশর : ৯)।
মদিনায় ইসলামি রাষ্ট্র গড়ে উঠতে শুরু করে। সংক্ষিপ্ত সময়ে তা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। বিভিন্ন বিধিমালা অবতীর্ণ হয়। তারপর তা নানা মিত্রবাহিনীকে সংযুক্ত করে। যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদের সঙ্গে আল্লাহর পথে লড়াই করে। বিভিন্ন চুক্তি, প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকারনামা সম্পাদনা করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এখানে ১০ বছর থাকেন। এ সময়টা ছিল ঘটনাবহুল, শরিয়তের নানা বিধান ও বহু যুদ্ধে পরিপূর্ণ। ইতিহাস তার সূচনালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত এমন যুগ বা প্রজন্ম কোনোটাই প্রত্যক্ষ করেনি, যা এ যুগ ও এ প্রজন্মের চেয়ে বেশি সত্যনিষ্ঠ, সরল-সঠিক পথে বেশি ন্যায়-নিষ্ঠাপূর্ণ ও আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় ছিল।
মদিনা-পর্বের ১০ বছর সময়ের মধ্য দিয়ে আল্লাহ তাঁর দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেন। মানুষ দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করে। ইসলাম আরব উপদ্বীপের ঘরে ঘরে পৌঁছে যায়। তার অধিবাসীরা আনুগত্য প্রকাশ করে ইসলামের জন্য নিবেদিত হয়। এ কাল-পর্বের প্রসিদ্ধ ঘটনাবলি এরকমÑ
হিজরি প্রথম বর্ষে : নবী করিম (সা.) মসজিদে নববি ও নিজের বাসস্থান নির্মাণ করেন। মুহাজির ও আনসার সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন স্থাপন করেন। আজানের প্রচলন হয়।
দ্বিতীয় বর্ষে : কাবাঘরের দিকে কেবলা পরিবর্তন করা হয়। এ বছর রমজানের রোজা ফরজ করা হয়। সদকাতুল ফিতর ধার্য করা হয়। বদর যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) এর কন্যা রুকায়্যাহ (রা.) মৃত্যুবরণ করেন। নবী করিম (সা.) আয়েশা (রা.) এর সঙ্গে সংসার শুরু করেন। এ বছর রাসুলুল্লাহ (সা.) এর কন্যা ফাতেমা (রা.) কে আলী (রা.) বিয়ে করেন।
তৃতীয় বর্ষে : বিভিন্ন যুদ্ধ ও অভিযান সংঘটিত হয়। এর মধ্যে ওহুদের যুদ্ধ ও বনি নাজিরের যুদ্ধ অন্যতম। তারপর মদ্যপান নিষিদ্ধ করা হয়। এ বছর নবী করিম (সা.) উমর ইবনে খাত্তাব (রা.) এর কন্যা হাফসা (রা.) কে বিয়ে করেন। উসমান (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) এর কন্যা উম্মে কুলসুম (রা.) কে বিয়ে করেন। ফাতেমা (রা.) এর কোলে হাসান ইবনে আলী (রা.) জন্ম গ্রহণ করেন।
চতুর্থ বর্ষে : নবী করিম (সা.) উম্মে সালমা (রা.) কে বিয়ে করেন। তায়াম্মুমের বিধান প্রবর্তিত হয়। বর্ণিত আছে : এ বছর খন্দকের যুদ্ধ ও যাতুর রিকা নামক যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ বছর সালাতুল খাওফের বিধান চালু হয়।
পঞ্চম বর্ষে : দুমাতুল জান্দাল নামক যুদ্ধ সংঘটিত হয়। পর্দার বিধান চালু হয়।
ষষ্ঠ বর্ষে : হুদায়বিয়ার সন্ধি, বাইয়াতে রিদওয়ান ও বনি মুসতালিক যুদ্ধ সংঘটিত হয়। সূর্যগ্রহণ হয়। ‘জিহার’ সংক্রান্ত আয়াত অবতীর্ণ হয়।
সপ্তম বর্ষে : খায়বার যুদ্ধ হয়। উমরাতুল কাদা পালিত হয়। নবী করিম (সা.) উম্মে হাবিবা, মায়মুনা, ছফিয়্যাহ ও মারিয়া কিবতিয়্যাহ (রা.) কে বিয়ে করেন। আবু হুরায়রা (রা.) ইসলাম গ্রহণ করেন।
অষ্টম বর্ষে : মুতা ও জাতুস-সালাসিল নামক যুদ্ধ সংঘটিত হয়। রমজান মাসে মক্কা বিজয় হয়। নবী করিম (সা.) এর ছেলে ইব্রাহিম (রা.) জন্মগ্রহণ করেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর কন্যা জয়নাব (রা.) এর মৃত্যু হয়। এ বছর হুনাইনের যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
নবম বর্ষে : তাবুক যুদ্ধ হয়। নবী করিম (সা.) আবু বকর (রা.) কে লোকদের নিয়ে হজ করতে আমির নিযুক্ত করেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর কন্যা উম্মে কুলসুম (রা.) মারা যান। নাজ্জাশির মৃত্যু হয়। বিভিন্ন প্রতিনিধি দলের ধারাবাহিক আগমন ঘটে।
দশম বর্ষে : রাসুলুল্লাহ (সা.) বিদায় হজ পালন করেন। তাঁর ছেলে ইব্রাহিম (রা.) মারা যান। আল্লাহ তায়ালার এ বাণী অবতীর্ণ হয়Ñ ‘যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনি নিজের পালনকর্তার প্রশংসাসহ পবিত্রতা ঘোষণা করুন। তাঁর কাছে ক্ষমা চান। নিশ্চয় তিনি তওবা কবুলকারী।’ (সূরা আসর : ১-৩)।
হিজরি একাদশ বর্ষের রবিউল আউয়াল মাসে বিদায় হজের পর রাসুলুল্লাহ (সা.) এর মধ্যে যন্ত্রণাদায়ক ব্যাধি দেখা দেয়। তাঁর জন্য আমার মা-বাবা কোরবান হোক। আল্লাহ তাঁকে ইচ্ছাধিকার প্রদান করেন। তখন তিনি নিজ রবের মিলনকে বেছে নেন। ‘আল্লাহুম্মা আর-রাফিকাল আলা।’ হে আল্লাহ, মহান সঙ্গীর সঙ্গে যুক্ত করুন। বিদায়ের মুহূর্ত চলে এলো। তিনি অসিয়ত করে বিদায় জানালেন। তাঁর বিচ্ছেদে পৃথিবী অন্ধকার হলো। কলিজা বিদীর্ণ হয়ে গেল। হায় আল্লাহ! কত বিশাল দুর্যোগ! কী মর্মন্তুদ ঘটনা! কত কঠিন সংকট! কী দুঃসহ পরিস্থিতি! কেনই বা এমন হবে না? রাসুলুল্লাহ (সা.) এর মৃত্যুতে যে পৃথিবীতে ওহি আসা বন্ধ হয়ে গেল! দিগন্ত আঁধারে ছেয়ে গেল। মুসলমানরা অস্থির হয়ে পড়ল। তাদের কেউ হলো কিংকর্তব্যবিমূঢ়, কেউ হলো অপ্রকৃতিস্থ। কেউ কেউ অসাড় হয়ে বসে পড়ল, দাঁড়াতে পারছিল না। কারও জিহ্বা নির্বাক হয়ে গেল, কথা বলতে পারছিল না। আনাস (রা.) বলেন, ‘যেদিন রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় প্রবেশ করেছিলেন তার সবকিছু আলোকিত হয়েছিল আর যেদিন তিনি মারা গেলেন সেদিন মদিনার সবকিছু অন্ধকারে ছেয়ে গিয়েছিল।’ কিন্তু এটাই তো আল্লাহর বিধান। মৃত্যু তো পিতা, সন্তান, ছোট-বড় কাউকেই ছাড়ে না। হে আল্লাহ, আমরা আপনার ও আপনার রাসুলের নিরেট ভালোবাসা কামনা করছি।
২৩ মহররম ১৪৪২ হিজরি মসজিদে নববির জুমার খুতবার সংক্ষিপ্ত ভাষান্তর করেছেন মাহমুদুল হাসান জুনাইদ