ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

আমল

আট অবস্থায় ফেরেশতারা বান্দাদের জন্য অনবরত দোয়া করে থাকেন

আট অবস্থায় ফেরেশতারা বান্দাদের জন্য অনবরত দোয়া করে থাকেন

১. নামাজের জন্য মসজিদের প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর সময় : এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা প্রথম কাতারের মুসল্লিদের জন্য কল্যাণ কামনা করতে থাকেন।

২. নামাজ শেষ করে মসজিদে বসে জিকির-আজকার করার সময় এবং নতুন ওয়াক্তের জন্য মসজিদে বসে অপেক্ষা করার সময় : রাসুল (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই ফেরেশতারা তোমাদের কারও জন্য ততক্ষণ পর্যন্ত কল্যাণ কামনা করতে থাকেন, যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার নামাজের জায়গায় বসে থাকে। তারা বলতে থাকেন, হে আল্লাহ তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও, তাকে দয়া কর, যতক্ষণ না সে ওই জায়গা ত্যাগ করে।’

৩. রোগীকে দেখতে যাওয়ার সময় : রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় কোনো রোগীকে দেখতে বের হয় সেই সময় সত্তর হাজার ফেরেশতাও তার সঙ্গে বের হয় এবং সকাল পর্যন্ত তার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে থাকে। আর তার জন্য জান্নাতে অপরূপ সৌন্দর্যম-িত একটি বাগান প্রস্তুত করা হয়। অনুরূপভাবে সকালে বের হলেও ফেরেশতারা তার সঙ্গে বের হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্ষমা চাইতে থাকেন এবং তার জন্য জান্নাতে অপরূপ সৌন্দর্যম-িত একটি বাগান প্রস্তুত করা হয়।’

৪. আল্লাহকে খুশি করার জন্য কোনো মুসলিম ভাইকে মোহব্বত করে তার সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার সময় : এ মর্মে রাসুল (সা.) বলেন, ‘এক ব্যক্তি ভিন্ন গ্রামের এক মুসলিম ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য বের হলো। চলতি পথে আল্লাহ তায়ালা তার কাছে একজন ফেরেশতা পাঠালেন। ফেরেশতা যখন তার কাছে উপস্থিত হলেন তখন জিজ্ঞেস করলেন আপনি কোথায় যাচ্ছেন? লোকটি বললেন, এই গ্রামে আমার পরিচিত এক ভাই আছে, তার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। ফেরেশতা বললেন, তার সঙ্গে আপনার কোনো লেনদেন আছে? তিনি বললেন না, এমনি দেখা করতে যাচ্ছি, তাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি তাই। ফেরেশতা বললেন, আমি আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত ফেরেশতা। আপনার কাছে এসেছি এ সংবাদ দেওয়ার জন্য যে, আপনি যে রকম ওই লোকটাকে ভালোবাসেন অনুরূপ আল্লাহও আপনাকে সে রকম ভালোবাসেন।’

৫. অনুপস্থিত কোনো মুসলিম ভাইয়ের জন্য দোয়া করার সময় : এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘অনুপস্থিত কোনো ভাইয়ের জন্য একজন মুসলিমের দোয়া কবুল করা হয়। যখনই সে তার ওই ভাইয়ের জন্য দোয়া করে তখনই তার কাছে নিযুক্ত থাকা ফেরেশতা বলতে থাকেন আমিন এবং অনুরূপ তোমার জন্যও।’

৬. মানুষকে কল্যাণজনক ও সঠিক জ্ঞান শিক্ষা দেওয়ার সময় : এ ব্যাপারে রাসুল (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতারা, আসমান ও জমিনবাসী, গর্তের পিঁপড়াসহ সাগরের মাছেরাও ওইসব শিক্ষকের জন্য দোয়া করেন, যারা কল্যাণজনক জ্ঞান শিক্ষা দেয়।’

৭. পবিত্র অবস্থায় (অজু করে) ঘুমানোর সময় : এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অজু করে ঘুমায় তার মাথার কাছে একজন ফেরেশতা সারা রাত অবস্থান করেন। সে জাগ্রত হওয়া পর্যন্ত ফেরেশতা তার জন্য দোয়া করে বলতে থাকেন হে আল্লাহ, আপনি আপনার অমুক বান্দাকে মাফ করে দেন। কারণ সে পবিত্র অবস্থায় রাত যাপন করেছে।’

৮. সাহরি খাওয়ার সময় : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা সাহরির খাবার গ্রহণকারীদের জন্য কল্যাণ কামনা করেন।’

* লোকমান ত্রিশালী

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত