ঢাকা শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ঋতুপর্ণার কাছ থেকে শিখতে চান শান্তি

ঋতুপর্ণার কাছ থেকে শিখতে চান শান্তি

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। শিরোপা জিতে মাঠেই আনন্দ করেছে পিটার বাটলারের দল। এমন শিরোপায় অবদান সবার। উইঙ্গার শান্তি মার্ডিও নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। জাতীয় সিনিয়র দলে ঋতুপর্ণা চাকমার কাছ থেকেও শেখার আগ্রহ তার। গতকাল মঙ্গলবার ক্যাম্প হোটেলে শান্তি মার্ডি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি বলে অনেক খুশি লাগছে।’ সামনের দিকে খেলা নিয়ে শান্তির কথা, ‘আমি চেষ্টা করবো আমার সর্বোচ্চ দিয়ে খেলার। আমাকে নামালে অবশ্যই সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলবো।’

সিনিয়র টিমে খেলেন ঋতুপর্ণা। এই টুর্নামেন্ট থেকে কতটা আত্মবিশ্বাস পেলেন। এমন প্রশ্নের জবাবে শান্তির উত্তর, ‘খেলে আত্মবিশ্বাস অনেক পেয়েছি। এই টুর্নামেন্টে এই প্রথম নামি। আমার হ্যাটট্রিক হয়েছে, ভালো খেলেছি। চেষ্টা করবা ঋতু আপুর কাছ থেকে আরও শিখবো। উনি যেমন খেলেন, উনার স্টাইল থেকে শেখার চেষ্টা করবো। যেন উনার থেকে ভালো পারফর্ম করতে পারি।’

কোচ পিটার বাটলারকে নিয়ে যা বললেন শান্তি, ‘কোচ আমাদের অনেক ভালো। উনি যা যা ইনফরমেশন দেন, সেগুলো আমরা মানিয়ে চলতে চেষ্টা করি। যেভাবে খেলার জন্য বলেন আমরা সেভাবে খেলার চেষ্টা করি।’ লেফট উইং পজিশন নিয়ে এই ফরোয়ার্ড বললেন, ‘আমি আগে মিডফিল্ডে খেলতাম। ফুটবল ফেডারেশনে আসার পরে আমাকে লেফট উইংয়ে দেওয়া হয়েছে।’ শান্তির গ্রামের মানুষ কী বলে? তিনি বললেন, ‘আমার পঞ্চগড় বোদা অ্যাকাডেমি থেকে আসা। বাসা দিনাজপুর, বীরগঞ্জে। গ্রামের সবাই ভালো বলে। তুমি খেলছো, যেন বড় হতে পারো। তোমার জন্য আমরা দোয়া করলাম। তুমি যেন অনেক বড় হতে পারো।’ শান্তি এখন অনেকের চোখে আইডল, ‘আমাকে দেখে এখন অনেকেই ফুটবলের প্রতি আগ্রহ। তারা খেলতে চায়।’ ভুটানের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক আছে শান্তির। প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। কেমন লাগছে? শান্তির জবাব, ‘হ্যাটট্রিক করে অনেক ভালো লাগছে। জীবনের প্রথম আমার হ্যাটট্রিক।’ মা-বাবা কী বলেছেন? শান্তি বললেন, ‘দুজনের সঙ্গেই কথা হয়েছে। বাবা বলেছেন কবে বাসায় যাবো। আমি বলেছি এখন তো যেতে পারবো না। আমাদের খেলা আছে এএফসির, তারপর যাবো। তিনি বলেছেন, ‘আচ্ছা ভালো করে খেলো। তোমার জন্য দোয়া রইলো।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত