ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

এখনও আশা ছাড়েননি জাকের

এখনও আশা ছাড়েননি জাকের

আত্মবিশ্বাসে ভরপুর তিনটি সিরিজ জয়ের পর এশিয়া কাপে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। হংকংয়ের বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু করায় আত্মবিশ্বাসের মাত্রা আরও বেড়েছিল। তাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নামার আগে নিজেদের সুবিধাজনক জায়গায় দেখছিলেন তারা, জয় নিয়ে সুপার ফোরে এক পা দেওয়ার দিকে নজর ছিল তাদের। আশাব্যঞ্জক হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ৬ উইকেটের হারে ভেঙে পড়েছে সেই ছন্দ। দুই দলের দ্বৈরথ পরিণত হলো একপেশে লড়াইয়ে। সামান্য লড়াইও জমানো গেল না। তবে এখনই আশা না হারিয়ে টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে আসার কথা বলছেন জাকের আলি অনিকরা।

গত শনিবার আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে উড়িয়ে দেয় শ্রীলঙ্কা। লিটন দাসদের ১৩৯ রান তুলে নেয় ৩২ বল আগে। এমন বড় হারে সুপার ফোরের পথে এখন বড় প্রশ্ন। গ্রুপের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে শুধু হারালেই চলবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচের দিকেও। তবে জটিলতায় পড়েও আশা হারাতে রাজি নন জাকের। দলের চরম বিপর্যয়ে ৩৪ বলে ৪১ করা জাকের গণমাধ্যমে হাজির হয়ে জানান মানসিকতায় কোনো হেরফের হচ্ছে না তাদের, ‘আশা ছাড়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমরা জেতার জন্য খেলব। একই মানসিকতা থাকবে। এই ম্যাচেও আমরা জেতার মানসিকতা নিয়ে এসেছিলাম, হয়নি। পরের ম্যাচেও জেতার মানসিকতা নিয়েই নামব। আমরা তো টুর্নামেন্ট স্রেফ ম্যাচ খেলার জন্য আসিনি, আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য এসেছি। এক ম্যাচ হারাতে এটা আশা হারিয়ে ফেলা যাবে না।’ এই ম্যাচে শুরু থেকেই কেমন ছন্নছাড়া মনে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভারে কোন রান না তুলেই হারিয়ে ফেলে দুই উইকেট। ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে এক পর্যায়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়। পরে জাকের আর শামীম পাটোয়ারি লড়াই করলেও পুঁজি হয়নি যথেষ্ট। তবে ম্যাচে নামার সময় মনসংযোগের কোন ঘাটতি দেখেন না এই ব্যাটার, ‘আমরা তো গুড স্টেট অব মাইন্ড... ভালো না করলে অনেক কিছুই মনে হয়। কিন্তু যেটা বললাম যে পাওয়ার প্লেতে খুব বেশি উইকেট হারালে বড় স্কোর করা কঠিন হয়ে যায়। আমরা চেষ্টা করেছি, আমি আর পাটোয়ারি যতটুকু নেওয়া যায়। যদি হাতে উইকেট থাকত আরও ঝুঁকি নেওয়া যেত।’ ৫ উইকেট পড়ার পর শামীমকে নিয়ে ৮৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন জাকের। তবে তাতে খেলেন ৬১ বল। জানান, মাঠের এক দিকে বাতাস থাকায় তাদের খেলা হয়েছে চ্যালেঞ্জের, ‘যেহেতু গরম ছিলো। বাতাস একটা ফ্যাক্ট। এই মাঠে দুই সাইডে মারা যায় না। তারা ভালো বল করেছে। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা ভালো করিনি।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত