ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেমিতে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেমিতে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটে চলেছে বাংলাদেশের যুবারা। টানা দুই জয়ে আগেই বয়সভিত্তিক এই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল টাইগার যুবারা। ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৩৯ রানে হারিয়ে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আজিজুল হাকিম তামিমের দল। একইসঙ্গে সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাকিস্তানকে পেয়েছে লাল সবুজের যুবারা।

যদিও এ ম্যাচে শুরুটা ভাল হয়নি তাদের। উদ্বোধনী জুটিতে পাওয়া শক্ত ভিত কাজে লাগাতে পারল না বাংলাদেশ। হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে আড়াইশর নিচে হলো অলআউট। তবে এই সাদামাটা পুঁজি রক্ষায় জ্বলে উঠলেন বোলাররা। তাদের সম্মিলিত অবদানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিলল অনায়াস জয়। গতকাল বুধবার দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমিতে টস হেরে আগে ব্যাট করে ২১ বল বাকি থাকতে ২২৫ রানে গুটিয়ে যায় তারা। জবাবে ৪৯.১ ওভার খেলে শ্রীলঙ্কা থামে ১৮৬ রানে। হারলেও সেমির টিকিট নিশ্চিত করেছে তারা।

হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের অভিযানে থাকা বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচের সবকটিতে জেতায় পেয়েছে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট। আগামী শুক্রবার আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে ‘এ’ গ্রুপ রানার্সআপ পাকিস্তানের। আরেক সেমিতে ‘বি’ গ্রুপ রানার্সআপ শ্রীলঙ্কা মোকাবিলা করবে ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ভারতকে। এক পর্যায়ে ২৯তম ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১৫৬ রান। এরপর ছন্দপতন ঘটায় আসা-যাওয়ার মিছিলে নামেন ব্যাটাররা। তাদের শেষ ৮ উইকেটের পতন হয় মাত্র ৬৯ রানে। সর্বোচ্চ ৪৯ রান আসে ছন্দে থাকা ওপেনার জাওয়াদ আবরারের ব্যাট থেকে। স্রেফ এক রানের জন্য তিনি টানা তৃতীয় ফিফটির স্পর্শ পাননি। তার ৩৬ বলের বিস্ফোরক ইনিংসে ছিল চারটি করে চার ও ছক্কা।

আরেক ওপেনার রিফাত বেগ করেন ৪৮ বলে ৩৬ রান। তিনে নামা অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম ৪৮ বলে ২৯ ও চারে নামা কালাম সিদ্দিকি ৬০ বলে ৩২ রান করেন। শঙ্কা জাগলেও বাংলাদেশের পুঁজি শেষমেশ ২০০ ছাড়ায় ফরিদ হাসানের ব্যাটে। সাতে নেমে তিনি ৪০ বলে ২৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। শেষ ব্যাটার ইকবাল হোসেন ইমনের ব্যাট থেকে আসে দুটি ছক্কায় ৬ বলে ১২ রানের ক্যামিও।

শ্রীলঙ্কার হয়ে বল হাতে নজর কাড়েন কাভিজা গামাগে। তিনি ৩৮ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে বড় ধাক্কা দেন বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে। দুটি করে উইকেট দখল করেন ভিরান চামুদিতা ও রাসিত নিমসারা। রান তাড়ায় কখনোই আশা জাগাতে পারেনি লঙ্কানরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় ইনিংসের মাঝপথেই লড়াই থেকে ছিটকে যায় তারা। ১২৬ রানে ৮ উইকেট পড়ার পর তাদের হারের ব্যবধান কমে অধম হিলমির ব্যাটে। তিনি ৩৮ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় করেন ৩৯ রান। ৬৭ বলে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন চামিকা হিনাতিগালা। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান আসে অতিরিক্ত খাত থেকে।

বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট পান শাহরিয়ার আহমেদ ও ইমন। শাহরিয়ার ২৭ ও ম্যাচসেরা ইমন ৩৭ রান খরচ করেন। সামিউন বশির রাতুল দুটি শিকার ধরেন ২৭ রানের বিনিময়ে। তাদের মতো আঁটসাঁট ছিলেন অধিনায়ক আজিজুলও। তিনি ৩১ রানে নেন ১ উইকেট। এদের সবাই ১০ ওভারের কোটা পূর্ণ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত