তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটিতে ১-১ ব্যবধানে সমতায় থেকে তৃতীয় এবং সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। পাল্লেকেলেতে অনুষ্ঠেয় এই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে কুশল মেন্ডিসের দুর্দান্ত শতকে বাংলাদেশকে ২৮৬ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছে স্বাগতিকরা। শ্রীলঙ্কার হয়ে ১১৪ বলে সর্বোচ্চ ১২৪ রানের ইনিংস খেলেছেন কুশল।
জবাবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ ৫.৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২৯ রানে ব্যাট করছে।
এর আগে, মঙ্গলবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার নিশান মাদুশকা।
এরপর কুশল মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। তবে ৪৭ বলে ৩৫ রান করে তানভীরের বলে তিনি সাজঘরে ফেরেন। ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি কামিন্দু মেন্ডিস। ১ ওভারে বোলিংয়ে এসে কামিন্দুকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। ২০ বলে ১৬ রান করে আউট হন তিনি।
তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ৭টি বাউন্ডারিতে ৫৮ বলে ফিফটি তুলে নেন কুশল মেন্ডিস। অপর প্রান্ত থেকে ৯টি বাউন্ডারি মেরে ৬০ বলে ফিফটি তুলে নেন অধিনায়ক আসালাঙ্কা। আর সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে চলে যান কুশল। ৯৫ বলে নিজের শতক পূরণ করে দলে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে নেন তিনি।
এই দুজনের ব্যাটে ভর করে ৩০০ রানের দিকে এগোচ্ছিল লঙ্কানরা। তবে ৪১তম ওভারে তাসকিনকে বোলিংয়ে আনেন মিরাজ। ওভারের তৃতীয় বলে লঙ্কান অধিনায়ককে ক্যাচআউটের ফাঁদে ফেলেন এই টাইগার পেসার। ৬৮ বলে ৫৮ রান করেন তিনি।
৪৫তম ওভারের শেষ বলে হিট উইকেটের ফাঁদে পড়েন জানিথ লিয়ানাগে। ১৭ বলে ১২ রান করেন তিনি। পরের ওভারে শামীম পাটোয়ারীকে বোলিংয়ে আনলে তাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন কুশল। তবে ততক্ষণে কাজের কাজ ১১৪ বলে ১২৪ রান করে ফেলেছেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত হাসারাঙ্গার ১৪ বলে ১৮ রান এবং চামিরার ১০ রানে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রানের বড় পুঁজি পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী মিরাজ দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও শামীম পাটোয়ারী, তানভীর ইসলাম ও তানজিম সাকিব একটি করে উইকেট লাভ করেন।