গত বছরের শুরুর দিকে আর একটু হলেই সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা হাতছাড়া হতে যাচ্ছিল বাংলাদেশের। ভারতের বিপক্ষে মোসাম্মত সাগরিকার গোলটি না হলে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা কঠিনই ছিল। অনেক চড়াই-উতরাইয়ের পর সাগরিকা এগিয়ে চলেছেন। গতকাল শুক্রবারও সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন। ৯ গোলে জেতা ম্যাচে তিন গোল করে সাগরিকা উচ্ছ্বসিত। প্রায় দুই বছর আগে সবশেষ নারী লিগ থেকে সাগরিকাকে বয়সভিত্তিক দলে টানেন তৎকালীন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। কিন্তু সেসময় তার শারীরিক গঠন দেখে কেউ কেউ অনাগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ছোটন অনেকটা জোর করেই বাফুফের আবাসিক ক্যাম্পে নিয়ে নেন তাকে। বাবা লিটন আলী শুরুতে ফুটবলে অনাগ্রহ দেখালেও পরবর্তীতে আর না করেননি। এখন সাগরিকা এগিয়ে চলেছেন দুর্বার গতিতে। গতকাল কিংস অ্যারেনায় হ্যাটট্রিক করে ম্যাচের পর সাগরিকা উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেছেন, ‘আসলে এটা তো ভালো লাগার কথা। প্রথম ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছি। অনেক ভালো লাগছে।’ লঙ্কানদের বিপক্ষে বিরতির পর ৬ গোল দিয়েছে বাংলাদেশ। সাগরিকা নেপথ্যের কারণ জানালেন, ‘প্রথমার্ধে আমরা ভালো খেলতে পারি নাই। মাঠের কারণে। মাঠের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। মাঠে কাদা ছিল। বিরতির পর আমাদের কোচ নির্দেশনা দিয়েছিলেন আমরা ভালো খেলতে পারবো। আরও ভালো ম্যাচ হবে। আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছেন। সেই নির্দেশনায় ভালো খেলেছি।’ আগামীকাল রোববার নেপালের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। সাগরিকা চাইছেন জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এগিয়ে যেতে, ‘সামনের ম্যাচে আত্মবিশ্বাস আছে আরও ভালো খেলতে পারবো।’