ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বার্সেলোনায় নতুন ‘বিস্ময়বালক’

বার্সেলোনায় নতুন ‘বিস্ময়বালক’

বার্সেলোনার খেলোয়াড় তৈরি আঁতুড়ঘর। স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটি নিয়মিতই ফুটবল বিশ্বকে নতুন নতুন খেলোয়াড় উপহার দিয়ে চলেছে। লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ, নেইমারসহ অসংখ্য তারকার জন্ম দিয়েছে। বার্সেলোনা থেকে বেরিয়ে আসা সর্বশেষ বড় তারকা লামিনে ইয়ামাল।

বয়স ১৭ পেরোনোর আগেই যার নামের পাশে যুক্ত হয়েছে অসামান্য সব সাফল্য। সেই ইয়ামালের পথ ধরেই এবার আবির্ভূত হতে চলেছেন পেদ্রো ফার্নান্দেজ। নতুন এই বিস্ময়বালকের বয়সও ১৭, কিন্তু দেখতে মনে হচ্ছিল আরও কম। যাকে আদর করে সবাই ডাকেন দ্রো ফার্নান্দেজ বলে। আগামী দিনে হয়তো এই নামেই নিজেকে চেনাবেন তিনি। তবে এই নামের পেছনেও আছে মজার গল্প।

‘পেদ্রো’ নামের সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে ‘দ্রো’-এই নামে ডাকতেন তার ভাই। পরিবারের আপত্তি ছিল না; কারণ, এভাবে তার বাবার নাম থেকে তাকে আলাদা করা যায়। বাবার নামও ছিল পেদ্রো। কিন্তু ভাইয়ের দেওয়া নামটা তার সঙ্গে বার্সেলোনায়ও দারুণভাবে মানিয়ে গেছে। কারণ, একই সময়ে বার্সায় আরও দুজন ‘পেদ্রো’ নামের খেলোয়াড় ছিলেন। একজন হচ্ছেন পেদ্রো ভিয়া (১৭) আর অন্যজন পেদ্রো রদ্রিগেজ (১৭)।

দ্রো নামটা তাকে এ দুজনের চেয়েও আলাদা করেছে। গত রোববার প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতিতে জাপানি ক্লাব ভিসেল কোবের বিপক্ষে ৭৯ মিনিটে মার্কাস রাশফোর্ডের বদলে দ্রোকে মাঠে নামান বার্সেলোনা কোচ হান্সি ফ্লিক। মাঠে নামার ৮ মিনিট পর নিজের প্রথম গোলও করেন এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শটে গোল করেন দ্রো। শুধু গোল করে নয়, যেটুকু সময় মাঠে ছিলেন, নিজের প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছেন এই কিশোর। নিখুঁত পাসিং, গতিময়তা, ওয়ান টাচ এবং ড্রিবলিং জাদুতে মুগ্ধ করেছেন সবাইকে। এই ম্যাচে যদি শেষ পর্যন্ত গোল যদি নাও পেতেন, তবু দ্রোকে আলাদা করে চেনানোর প্রয়োজন হতো না। অল্প সময়ের মধ্যে ‘আগামী দিনের তারকা’ খেতাবটাও নিজের করে নিয়েছেন দ্রো। এমনকি কেউ কেউ তার খেলায় বার্সেলোনা ও স্পেন কিংবদন্তি আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার ছায়াও দেখতে পেতে শুরু করেছেন।

গ্যালিসিয়ান বাবা এবং ফিলিপিনো মায়ের সন্তান দ্রোর জন্ম ২০০৮ সালে নিগরান শহরে। এরপর প্রতিভার জোরে একপর্যায়ে ঠাঁই করে নেন লা মাসিয়াতে। সেখানেই নিজের প্রতিভা ও মেধার বিকাশ ঘটান এই কিশোর। আর ফ্লিকের হাত ধরে গতকাল মূল দলের হয়ে মাঠেও নেমে গেলেন তিনি। দ্রো মূলত অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হলেও তাকে ফরোয়ার্ড, লেফট উইংগার এবং ফলস নাইন হিসেবেও খেলতে পারেন। এককথায় দ্রো রীতিমতো বৈচিত্র্যময়তার আধার।

বার্সার মূল দলের হয়ে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলার অনুভূতি জানিয়ে দ্রো বলেছেন, ‘আমি একটু স্নায়ু চাপে ভুগছিলাম। কিন্তু প্রথম সুযোগ পেয়েই গোল করতে পেরেছি।

বিশ্বের সেরা ক্লাবের হয়ে এটি আমার প্রথম ম্যাচ, তাই খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। হান্সির (ফ্লিক) সঙ্গে কথা বলার পর কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি। সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা আমাকে ভরসা দিয়েছে ও সাহস জুগিয়েছে।’ বার্সার সঙ্গে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তি দ্রোর। তবে কাতালান ক্লাবটি এরই মধ্যে তার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। ফ্লিকের পাশাপাশি ক্লাবের অন্যরাও দ্রোর প্রতিভায় মুগ্ধ। এখন যেকোনো মূল্যে তাকে ধরে রেখে লম্বা সময়ের জন্য কাজে লাগাতে চায় ক্লাবটি।

‘বিস্ময়বালক’,খেলোয়াড়
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত