
প্রথম দুই ম্যাচে হেরে আগেই ওয়ানডে সিরিজটা খুইয়ে বসেছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে শান্ত-সাইফদের লক্ষ্য ছিল একটা জয় তুলে নিয়ে অন্তত হোয়াইটওয়াশটা এড়ানো। কিন্তু আফগানদের দেওয়া ২৯৪ রান তাড়া করতে নেমে ৯৩ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। আর এতে ২০০ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে তারা।
আবুধাবির উইকেটে শুরুতে ব্যাটিং বান্ধব হওয়ায় টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে ৯৯ রানের ওপেনিং জুটি পায় আফগানিস্তান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে পায় ৭৪ রান। ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ৪২ রান করে ফিরে যান। তিনে নামা সাদেকুল্লাহ আতাল ২৯ রান যোগ করে সাইফের বলে ফিরে যান। পরেই পার্ট টাইম স্পিনার সাইফ আফগান অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহিদীকে (২) আউট করেন।
সেঞ্চুরির পথে থাকা ইব্রাহিম জাদরান রান আউট হলে স্বস্তি ফেরে বাংলাদেশ দলে। ওপেনার ইব্রাহিম ১১১ বলে ৯৫ রান করেন। সাতটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন। দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচেও ৯৫ রান করে আউট হয়েছিলেন জাদরান। এরপর পাঁচে নামা ইকরাম আলী খিল (২) আউট হলে ১৮৮ রানে ৫ উইকেট হয়ে যায় আফগানরা। বাংলাদেশের সামনে সুযোগ এসেছিল আড়াইশ’র পরই তাদের অলআউট করে দেওয়ার।
তবে শেষ দিকে মোহাম্মদ নবি ঝড় তোলেন। ২৫ বলে ২৪ রান করার পর তিনি শেষ দুই ওভারে তুলে নেন আরও ৩৮ রান! শেষ ওভারে হাসান মাহমুদের বলেই তিনটি চার ও এক ছক্কায় ১৯ রান নেন নবি। তিনি শেষ পর্যন্ত ৩৭ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন। আফগানিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯৩ রান।
জবাব দিতে নেমে ৩৫ রানের ওপনিং জুটি পায় বাংলাদেশ। নাঈম শেখ ১৬ বলে ৩ রান করে ফিরে যান। পরের ব্যাটাররা আশা যাওয়ার মিছিলে ছিলেন। নাজমুল শান্ত (৩), তাওহীদ হৃদয় (৭), মেহেদী মিরাজ (৬), শামীম পাটোয়ারি (০) কিংবা নুরুল হাসান (২) কেউ দুই অঙ্কের ঘরে রান নিতে পারেননি। এমনকি শেষ দিনের হাসান মাহমুদ কিংবা তানভীরও ১০ রানের ঘরে ঢুকতে পারেননি। কেবল ওপেনার সাইফ হাসান ৫৪ বলে তিন ছক্কা ও দুই চারে ৪৩ রান করেন।
আবা/এসআর/২৫