
বাংলাদেশ ক্রিকেটে ঐতিহাসিক এক দিন। দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি তুলে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিলেন মুশফিকুর রহিম। দুই দশকের লম্বা যাত্রায় অসংখ্য অবদান রাখা এই নির্ভরযোগ্য ব্যাটার আজ পৌঁছালেন এক অনন্য মাইলফলকে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে দ্বিতীয় দিনের সকালে ৯৯ রানে অপরাজিত থেকে ব্যাট হাতে নেমে জর্ডান নেইলের বল লেগ-সাইডে ঠেলে পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের ১৩তম শতক। স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে দু’হাত তুলে জানিয়ে দেন—এই শতকটা একেবারেই বিশেষ।
টেস্টে মুশফিকের আগেই ছিল ১২টি সেঞ্চুরি, তিনটি ডাবল সেঞ্চুরিও। কিন্তু শততম টেস্টে শতক—এই অর্জন তাকে নিয়ে গেল ভিন্ন এক উচ্চতায়। ১৪৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এর আগে মাত্র দশজন ক্রিকেটারই এমন কীর্তি গড়তে পেরেছিলেন। সেই তালিকা শুরু হয়েছিল ১৯৬৮ সালে ইংল্যান্ডের কলিন কাউন্ড্রেকে দিয়ে। পরে যোগ দেন জাভেদ মিয়াঁদাদ, গর্ডন গ্রিনিজ, আলেক স্ট্রুয়ার্ট ও ইনজামাম উল হক। রিকি পন্টিং তো নিজের শততম টেস্টে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করে তৈরি করেন অনন্য দৃষ্টান্ত। এরপর এই তালিকায় যুক্ত হয় গ্রায়েম স্মিথ ও হাশিম আমলার নাম। আর সাম্প্রতিক সময়ে শততম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন জো রুট ও ডেভিড ওয়ার্নার।
সেই সব কিংবদন্তির পাশে এবার জায়গা নিলেন বাংলাদেশের ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’। দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলা ও সবচেয়ে বেশি রান করা ব্যাটার মুশফিক আজ তার দীর্ঘ পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের প্রতিদান পেলেন নতুন এক স্বীকৃতির মাধ্যমে।
তবে অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সেঞ্চুরিতে পৌঁছানোর পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুশফিক। মাত্র ৬ রান যোগ করতেই ১০৬ রানে থেমে যায় তার ইনিংস। ২১৪ বলে গড়া এই পারফরম্যান্সে ছিল পাঁচটি দৃষ্টিনন্দন বাউন্ডারি।