সামাজিক বনায়নের গাছ বিক্রির লভ্যাংশের পরিবর্তে সুবিধাভোগীরা জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড থেকে সমপরিমাণ অর্থ পাবেন বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, “সামাজিক বনায়নের গাছ সংরক্ষণ করতে হবে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এ গাছ কাটা যাবে না। পাশাপাশি আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাসের বদলে দেশীয় গাছ লাগাতে হবে।”
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রংপুর সার্কিট হাউজে বন অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সরকারি সংস্থাগুলোর কার্যকর সমন্বয় জরুরি। শুধু বন সংরক্ষণ ও পানি সংকট মোকাবিলা করলেই চলবে না; খরা, বন্যা ও নদীভাঙন রোধেও যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। জলাধার সংরক্ষণ, বন পুনঃস্থাপন ও দূষণ নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, পাথর ভাঙা ও অবৈধ ইটভাটা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। নদীভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেন। বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় বেশি করে দেশীয় গাছ লাগানোর পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দেন তিনি।
সভায় বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা তাদের কার্যক্রম ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। তারা জানান, রংপুর অঞ্চলে বন উজাড়, শিল্প ও কৃষি দূষণ এবং পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করা হচ্ছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী এ. কে. এম. তাহমিদুল ইসলাম, বগুড়া সামাজিক বন সার্কেলের বন সংরক্ষক মুহাম্মদ সুবেদার ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহবুবর রহমান এবং পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক এ. কে. এম. রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।