“নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে তুলতে এবং সহানুভূতিশীল সমাজ গঠনে ধর্মীয় শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই” বলে মন্তব্য করেছেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে মুন্সীগঞ্জ শহরের কাটাখালি রোডের আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের ভূমিকা শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘দিন বদলের বইছে হাওয়া, নৈতিক শিক্ষাই প্রথম চাওয়া’ এই প্রতিপাদ্যে কর্মশালাটি আয়োজন করে জেলা প্রশাসন এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বাস্তবায়িত মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৬ষ্ঠ পর্যায়) প্রকল্প।
জেলা প্রশাসক বলেন, “শিশুদের নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে সমাজে শৃঙ্খলা, মানবিকতা ও সহিষ্ণুতা তৈরি হয়। বর্তমান সমাজে আমরা যেসব অবক্ষয়ের মুখোমুখি হচ্ছি, তার প্রতিকারে ছোটবেলা থেকেই শিশুদের ধর্মীয় মূল্যবোধে গড়ে তোলা জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “বিশেষ করে প্রান্তিক অঞ্চলের শিশুদের মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে মন্দিরভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম একটি কার্যকর উদ্যোগ। বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ জেলার ৭২টি কেন্দ্রে ২,১৬০ জন শিশু-কিশোর এই কার্যক্রমের আওতায় ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা অর্জন করছে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রকল্পের উপ-পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) নিত্য প্রকাশ বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলাম, উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও বাস্তবায়ন) কাকলি রানী মজুমদার, সহকারী প্রকল্প পরিচালক সাদিকা সুলতানা, কম্পিউটার অপারেটর শুভ্রা দাস, ফিল্ড সুপারভাইজার মো. মাজাহারুল মাহফুজ।
হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রার জিতু রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ মুন্সীগঞ্জ জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট অজয় চক্রবর্তী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব প্রশান্ত কুমার মন্ডল দুলাল, প্রকল্পের জেলা মনিটরিং কমিটির সদস্য অভিজিৎ দাস ববি।
কর্মশালায় ৬ উপজেলার ১৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী ৫টি গ্রুপে অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক, মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।