কক্সবাজার সদরে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার গভীররাতে উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের আল্লাওয়ালা নামে একটি হ্যাচারিতে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে। এবং হত্যার ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার পর উত্তেজিত জনতার হামলায় আহত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) স্থানীয় নেতা রাইয়ান কাশেম পুলিশি নজরদারিতে চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পুলিশের হেফাজতে ব্যক্তিরা হলেন, হ্যাচারি মালিকের ভাই তানভীর কাশেম, নৈশ প্রহরী মোহাম্মদ হোসাইন ও মো. মিজান। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, আলী আকবরকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মাছ চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে।
যুবককে হত্যার বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় উত্তেজিত জনতা হ্যাচারির মালিকের ছেলে রাইয়ান কাশেমকে মারধর করে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
রাইয়ান কাশেম বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির কক্সবাজারের সক্রিয় নেতা। রাইয়ানের বাবা এবি পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কাশেমের ছেলে।
রাইয়ান কাশেম দাবি করেন, তাঁদের হ্যাচারিতে চুরি করার সময় আলী আকবরকে হাতেনাতে ধরে নৈশপ্রহরীরা। পরে আলী আকবর আঘাত করলে আত্মরক্ষার্থে নৈশ প্রহরীরা পাল্টা আঘাত করে। এতে মারা যান তিনি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক চারজনকে হেফাজতে নেন পুলিশ। তৎমধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) স্থানীয় নেতা রাইয়ান কাশেম পুলিশি নজরদারিতে চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, গতকাল সোমবার নিহতের লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাদে আছর নামাজে জানাজার শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এই কর্মকর্তা আরো বলেন, এনসিপি নেতা রাইয়ান কাশেমকে জনরোষ থেকে রক্ষা করার জন্য ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন এজাহার দেয়নি। এজাহার পেলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#