লালমনিরহাটে ২০১৫ সালে বিএনপির অবরোধ চলাকালে সড়ক নষ্ট করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রায় ১১ বছর পর খালাস পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুল হাবিব দুলু ও আরও ৪৫ জন নামীয় আসামি।
সোমবার (১২ মে) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আদিব আলী ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারায় মামলাটি হয়রানিমূলক উল্লেখ করে সকল আসামিকে বেকসুর খালাস দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি অবরোধ চলাকালে লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের শিমুলতলা এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা কুড়াল, কোদাল, সাবল দিয়ে পাকা রাস্তায় খুঁটি পুঁতে এবং রাস্তা খুঁড়ে ব্যারিকেড তৈরি করেন। এতে সড়কের কার্যকারিতা নষ্ট হয় এবং সরকারি সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুসহ ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫০০-৫৫০ জনের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় মামলা করে পুলিশ।
খালাসের রায় পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় দুলু বলেন, “এটি ছিল গায়েবি ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা। সরকার আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনে পরিকল্পিতভাবে এমন মামলা দিয়েছিল। আজ আদালত থেকে ন্যায়বিচার পাওয়ায় প্রমাণ হলো, মামলা দিয়ে গণআন্দোলন থামানো যায় না।”
সরকারি কৌঁসুলি কেএম হুমায়ুন রেজা স্বপন বলেন, মামলাটি হয়রানিমূলক হওয়ায় আদালতে যুক্তি তুলে ধরা হয়। বিচারক তা বিবেচনায় নিয়ে রায় দেন।
