আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দিনাজপুর জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৪ লাখ ৫ হাজার ৯৯১টি গবাদিপশু। জেলার কোরবানির চাহিদা ২ লাখ ৬৯ হাজার ৮৬৫টি পশু। ফলে চাহিদার তুলনায় প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার ১২৬টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর।
দিনাজপুর সদর উপজেলার কমলপুর ইউনিয়নের দাইনুর গ্রামে অবস্থিত ‘রিপন অ্যাগ্রো ফার্ম’-এ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ১২০টি শাহিওয়াল জাতের গরু।
ফার্মের মালিক হাসিনা বেগম বলেন, “তিন বছর আগে ফার্মটি চালু করেছি। এবার এখানে দেশীয় খাদ্য ব্যবহার করে গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। গরুগুলোকে খুদি চালের ভাত, ভুট্টা, খৈল, খড় ও সবুজ ঘাস খাওয়ানো হয়। ফার্মের গরুর দাম ১ লাখ ২০ হাজার থেকে শুরু করে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত।”
ফার্মের শ্রমিক রাশেদুল ইসলাম জানান, “প্রতিদিন গরুগুলোকে সাবান-শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করানো হয়, মল-মূত্র অপসারণ করা হয় এবং মশা-মাছি তাড়াতে স্প্রে ব্যবহার করা হয়। গরমে সিলিং ফ্যানও চালানো হয়।”
অন্য এক শ্রমিক হাসানুর রহমান বলেন, “গরুদের নিয়মিত পশু চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখা হয় যাতে কোনো রোগে আক্রান্ত না হয়।” ফার্মে গরু কিনতে আসা ক্রেতা মাইনুল ইসলাম বলেন, “এই খামারের প্রতিটি গরুই স্বাস্থ্যবান। আমি দুটি গরু কিনতে এসেছি।”
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রহিম বলেন, “ঈদ উপলক্ষে জেলার ৬৮টি স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাটে ৩৮টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। গত সপ্তাহ থেকে এসব কার্যক্রম শুরু হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “দিনাজপুর সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় অবৈধ পথে বিদেশি গরু প্রবেশ রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।”