পাবনার ঈশ্বরদীতে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটে গুণগতমান সম্পন্ন বীজআখ উৎপাদন ও বিস্তারের কৌশল শীর্ষক ফিডব্যাক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৮ জুন) দিনব্যাপী এ এস এম কামাল উদ্দিন মেমোরিয়াল হলে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. কবির উদ্দিন আহমেদ বলেন, মুড়ি আখে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। মুড়ি আখ বেশি চাষাবাদ হলে নির্ধারিত সময়ের আগেই সুগার মিল চালু করা সম্ভব হবে। সুগার মিল আগে চালু করলে কৃষক ও মিল উভয়েই লাভবান হবে। সেই সাথে মাঠে লাগানো লেট ভ্যারাইটি আখ কৃষক পরে কেটে মিলে দিতে পারবে।
বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. মো. ইমাম হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন ঢাকার প্রধান (সিপিই) মো. গিয়াস উদ্দীন প্রধান, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট ঈশ্বরদীর পরিচালক (গবেষণা) ড. কুয়াশা মাহমুদ, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট ঈশ্বরদীর পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি হস্তান্তর) মোছা. ইসমাৎ আরা।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. ইমাম হোসেন। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম ও শারমিন সুলতানা।
প্রধান অতিথি বলেন, আমাদেরকে প্রথমে কৃষকদের সম্মান জানাতে হবে। কৃষক জমিতে ফসল ফলায় বলেই স্বল্পমূল্যে আমরা কৃষিপণ্য পেয়ে থাকি। বিদেশ থেকে কৃষি পণ্য আমদানি করলে আমাদের দেশের অর্থ ব্যাপক ক্ষতি হতো। কৃষক যদি লাভবান না হয় তাহলে ওই ফসল কৃষক তার জমিতে রোপণ করবেন না। আখের সাথে অনেক কৃষক সাথি ফসল উৎপাদন করছেন। আখের সাথে সাথি ফসল উৎপাদন করায় উভয় ফলন বৃদ্ধি হয়েছে।
বক্তারা বলেন, কৃষকদের মধ্যে মাইন্ড সেটাপের কিছু সমস্যা আছে। অন্যান্য বীজ বিঘা প্রতি ৭ কেজি, ১০ কেজি ও ১৫ কেজির মধ্যেই হয়ে যায়। কিন্তু বিঘা প্রতি অনেক বেশি আখ লাগে। আখের বীজ ১২ টাকা কেজি কিন্তু অন্যান্য বীজের মূল্য অনেক গুন বেশি। দুই বছর আখ চাষ করলে কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ সরবরাহ করা হবে। নার্সারি মালিকদের উৎসাহিত করলে আখের বীজ উৎপাদন বৃদ্ধি হবে। আখ চাষিরা চড়া মূলে বীজ কিনে ফলন বৃদ্ধি না হলে কৃষক বিমুখ হয়ে পড়বে। হর্টিকালচার গুলোতে অন্যান্য বীজ উৎপাদন করে থাকে। সেখানেও আখের বীজ করতে পারে। ভালো বীজে ভালো ফসল উৎপাদন করা সম্ভব। অনেক চাষি আছে আখ প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পরেও সেচ এবং ইউরিয়া সার প্রয়োগ করে থাকেন। এতে আখের ওজন বাড়লেও চিনির পরিমাণ কমে যায়, এদিকে লক্ষ রাখতে হবে। ২০২১ সালে এই প্রকল্প শুরু হয়। মিলজোন এবং ননমিলজোন এলাকাতে আখের বীজ প্রদান করা হয়।
উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, জিল বাংলা সুগার মিলস ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, ব্যবস্থাপক এক্সটেনশন আব্দুর রউফ, ঠাকুরগাঁও সুগার মিলস জিএম কৃষি আবু রায়হান, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট ড. রাশেদুল হাসান মিলন, ড. আনিছুর রহমান, জয়পুরহাট সুগার মিলস ব্যবস্থাপক খবির উদ্দিন, উপপরিচালক বগুড়া শামসুদ্দিন ফিরোজ ও ড. নিলুফার ইয়াসমিন গাজীপুর।