মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া ও নারায়ণগঞ্জের চর কিশোরগঞ্জ নৌ-রুটে ইজারা দ্বন্দ্বে নৌ-চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় মেঘনা নদীর দুই পাড়ের যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে গজারিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রলারগুলোকে মাঝ নদীতে জিম্মি করে টাকা তোলে চরকিশোরগঞ্জের ইউপি সদস্য মোতালেব মিয়া ও তার লোকজন। এতে বন্ধ হয়ে যায় ট্রলার চলাচল এবং দুর্ভোগে পড়েন দুই পাড়ের যাত্রীরা।
খবর নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘ বছর ধরে মেঘনা নদীর গজারিয়া অংশের ট্রলার ঘাটের ইজারা দিয়ে আসছে গজারিয়া উপজেলা প্রশাসন। একদিকে মেঘনা নদীর চর-কিশোরগঞ্জ অংশে ট্রলার ঘাট ইজারা দেয় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসন। অপরদিকে নদীর গজারিয়া অংশে থাকা লঞ্চঘাটটি ইজারা দেয় বিআইডব্লিউটিএ। তবে ১ জুলাই থেকে চর কিশোরগঞ্জ ট্রলার ঘাটটি ইজারা দেয় বিআইডব্লিউটিএ। এদিকে চর কিশোরগঞ্জ ঘাটের ইজারাদার নদীর দুই পাশের ট্রলার ঘাট থেকে ইজারা তোলার ঘোষণা দিলে বিষয়টি নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
এদিকে গজারিয়া ট্রলার ঘাটের ইজারাদারের দাবি, তাকে এখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য কয়েক দফা হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মেঘনা নদীর গজারিয়া অংশের ট্রলার ঘাটের ইজারাদার রিপন মুন্সী বলেন, ‘আমি গজারিয়া ট্রলার ঘাটের ইজারাদার। উপজেলা প্রশাসনকে ইজারা মূল্য পরিশোধ করে আমি পহেলা বৈশাখ থেকে চৈত্র মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ইজারা পেয়েছি। কিন্তু সম্প্রতি বিআইডব্লিউটিএ থেকে নদীর চর কিশোরগঞ্জ ঘাট ইজারা পেয়ে একজন নদীর দুই পাড় থেকে টাকা তোলার কথা বলছেন। ইতোমধ্যে তার কয়েকজন লোক আমাদেরকে হুমকি দিয়ে গেছেন। বিষয়টি নিয়ে আমি আতঙ্কিত। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনার স্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ট্রলার চালু করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য দুপুরে উভয় পক্ষকে গজারিয়া উপজেলা পরিষদে ডাকা হয়েছে।