কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী অরিত্র হাসানের এখনও সন্ধান মেলেনি। ঘটনার পাঁচ দিন পার হলেও উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এবার সেই তল্লাশি অভিযানে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ দল, যারা ড্রোন ব্যবহার করে সাগর ও উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিস ইনতেসার নাফি এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস, লাইফগার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বিচকর্মীদের সঙ্গে বিমানবাহিনীর তিন সদস্য ড্রোনসহ অভিযানে নেমেছে। সাগর ও উপকূলীয় অঞ্চলজুড়ে তল্লাশি অব্যাহত আছে।’
ঘটনার বর্ণনা অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ৭টায় অরিত্র হাসানসহ তিন শিক্ষার্থী হিমছড়ি সৈকতে গোসল করতে নেমে ভেসে যান। তাদের মধ্যে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে কে এম সাদমান রহমান সাবাবের মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং পরদিন নাজিরারটেক সৈকতে আসিফ আহমেদের মরদেহ পাওয়া যায়। দুইজনেরই বাড়ি ঢাকায় ও বগুড়ায়। তিনজনই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এবং শহীদ মো. ফরহাদ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র।
সী সেইফ লাইফগার্ড সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, হিমছড়ি সৈকতে গুপ্তখাল থাকায় সেখানে গোসল ঝুঁকিপূর্ণ। মৃত শিক্ষার্থীরাও গুপ্তখালে আটকা পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, মহেশখালী থেকে টেকনাফ পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলছে এবং বিমানবাহিনীর সহযোগিতা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে।
নিখোঁজ শিক্ষার্থীর সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত তল্লাশি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।