আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন এবং ফ্যাসিস্ট মতাদর্শের অনুসারী আখ্যা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়, ওরা একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। শুধু নিষিদ্ধ করলেই হবে না, তাদের আইনি, রাজনৈতিক ও জনতার রায়ের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে রাজবাড়ী শহরের রেলগেট এলাকায় ‘বিপ্লবী ছাত্রজনতার রক্তস্নাত চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান’ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ শীর্ষক মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “মুজিববাদী আদর্শের মাধ্যমে দেশে হত্যা-নির্যাতন চালানো হয়েছে। সেই আদর্শ থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতেই আমরা কাজ করছি। আমরা গত বছরের জুলাই থেকে রাজপথে নেমেছি, নতুন দেশ গঠন না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকবো। আগামী ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে সমাবেশ হবে, সেটি সফল করতে হবে।”
এছাড়াও পথসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি অভিযোগ করেন, “ঢাকায় আমাদের উপর হামলা হয়েছে, বসুন্ধরা মিডিয়া আওয়ামী লীগের ভাড়ায় খাটছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে রাজনীতি ঠিক হবে না। তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।”
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা বলেন, “রাজবাড়ীতে ভালো হাসপাতাল নেই। এখানে ৫টি ওষুধ লিখলেও সবই বাইরে থেকে কিনতে হয়। জরুরি চিকিৎসা, কর্মসংস্থান ও শিক্ষা নেই। আমরা এমন দেশ চাই না।”
জেলা পর্যায়ে এনসিপির দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, “রাজবাড়ী দীর্ঘ ১৫ বছর স্বৈরাচারের দখলে ছিল। ভালো চিকিৎসা নেই, বিশ্ববিদ্যালয় নেই। নতুন করে গড়তে হবে।”
এ সময় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সদস্য সাইয়েদ জামিল, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়কারী নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাজনুভা জাবীন, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক আতাউল্লাহ, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ জেলা-উপজেলার নেতা-কর্মীরা।
অতিথিদের মধ্যে আরও ছিলেন জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি ক্বারী আবু ইউসুফ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম, খেলাফত যুব মজলিসের সেক্রেটারি নাজমুল হাসান, যুব অধিকার পরিষদের ফজলে রাব্বী, আইনজীবী অ্যাড. নাজমুল হক, গাজী জাহিদ হাসান, ইঞ্জিনিয়ার সাইদুর জামান সাকিব, সুজন, রাসেল, আব্দুস সাত্তার, আবু তাহের, ফরিদ আহম্মেদ প্রমুখ।
পথসভাকে কেন্দ্র করে রাজবাড়ী শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। টহল দিয়েছে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের দল।