
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে নওগাঁয় চিত্রাঙ্কন ও আবৃতি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয় এর আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কুদরত-ই-জাহান।
এসময় নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাছানাত আলীর সভাপতিত্বে সাংবাদিক শেখ আনোয়ার, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রায়হান আলম, সাধারণত সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আজাদ হোসেন মুরাদ ও জেলা রিপোটার ইউনিটির সভাপতি আব্দুর রশিদ তারেক-সহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
এর আগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর চিত্রাঙ্গন ও আবৃতি প্রতিযোগী অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. মো. কুদরত-ই-জাহান বলেন- শিশুর মেধাবিকাশের অন্যতম একটি মাধ্যম চিত্রাঙ্কন। ভাষার বিকল্প হিসেবে চিত্রাঙ্কন ব্যবহৃত হয় যা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে পড়ে। যারা সাহস করে অংশ নিয়েছে সবাইকে অভিনন্দন। সবাই সনদের পিছনে ছুটে বেড়ায়। পারিবারিক শিক্ষা ও সৃজনশীলতা না থাকলে কোন শিক্ষায় আসলে শিক্ষা হিসেবে বিবেচিত হয় না। উন্নত বিশ্বে কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা খুবই বেহাল। কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব বাড়াতে হবে। আমরা এখান থেকে উত্তরণ চাই। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে হলেও কারিগরি শিক্ষার গুরুতর বাড়াতে হবে।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাছানাত আলী বলেন- নওগাঁবাসী কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চায়, সবার মতামত নিবো। এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় উপহার দিবো যা ছিল কল্পনাতীত। বাচ্চাদের মেধা বিকাশে খেলার মাঠ থাকবে। আলো বাতাস ভরপুর থাকবে। বাচ্চারা একদিন বড় হবে। তারা নিজেরা দায়িত্ব নিবে। তারা আগামীর দুর্নীতির মূলোৎপাটন করে ফেলবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলেই আজকের বাংলাদেশ।