
কক্সবাজারে অবস্থানকারী এনসিপির পাঁচ শীর্ষ নেতা কক্সবাজার ত্যাগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আজ বুধবার বেলা দেড়টার দিকে একটি ভিআইপি সাদা কালারের গাড়ি করে তারা হোটেল ত্যাগ করেছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। তবে তারা কি? সড়ক পথে না আকাশ পথে যাচ্ছেন তা নিশ্চিত করতে পারেনি দায়িত্বশীল সূত্রটি।
গতকাল মঙ্গলবার হঠাৎ কক্সবাজারে আসেন এনসিপির শীর্ষ পাঁচ নেতা। তাদের আগমনকে ঘিরে নানা গুঞ্জন তৈরি হয়। এমনকি তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বৈঠকের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ ও শৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র বলছে বিষয়টি সত্য নয়।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এনসিপির নেতারা মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে কক্সবাজার আসেন। পরে ইনানীর সি পার্ল বিচ রিসোর্টের (রয়েল টিউলিপ) ৫০০১, ৫০০২ ও ৫০০৩ নম্বর কক্ষে অবস্থান নেন।’
এনসিপির পাঁচ নেতা মধ্যে রয়েছেন— হাসনাত আবদুল্লাহ, সার্জিস আলম, ডা. তাসমিন জারা, নাসীরুদ্দিন পাটোয়ারী ও খালেদ সাইফুল্লাহ।
তারা ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার না করে সাধারণ যাত্রীদের গেট দিয়ে বের হয়ে যান। তবে সূত্র বলছে, তাদের সাথে সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন সার্জিস আলমের স্ত্রী।
এনসিপি নেতাদের বহনকারী গাড়ি চালক নুরুল আমিন জানান, তার গাড়িতে করে হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম ও নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীসহ দুইজন নারী- একজন সারজিস আলমের স্ত্রী এবং অপরজন সমন্বয়ক (তাসনিম জারা) রয়েল টিউলিপে যান। তার গাড়িটি পূর্বনির্ধারিত ভাড়া করা নয়। বিমান থেকে নেমে ওই গাড়ি করে সরাসরি হোটেলে চলে যান।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, ইনানীর সি পার্ল বিচ রিসোর্টের (রয়েল টিউলিপ) এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন অবস্থান নিয়েছে।
বুধবার দুপুর দেড়টায় কক্সবাজার এয়ারপোর্টে দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এনসিপির শীর্ষ পাঁচ নেতার নামে কোন বুকিং নেই।
এদিকে অন্য একটি সূত্র বলছে, তারা সড়ক পথে যাওয়ার জন্য আজ সকালে সাদা কালারের একটি ভিআইপি গাড়িতে অবস্থান করেন। তারা ওই গাড়িতে করে হোটেল থেকে বের হয়েছেন।
ওই সূত্রটি বলছে, তারা সড়কপথে মহেশখালীর মাতারবাড়িও যেতে পারেন।