ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

এনসিপির ৫ শীর্ষ নেতা ইনানী ছেড়ে এখন কক্সবাজার শহরে

ঘুরছেন দরিয়ানগর সৈকতে
এনসিপির ৫ শীর্ষ নেতা ইনানী ছেড়ে এখন কক্সবাজার শহরে

কক্সবাজার বেড়াতে আসা জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) পাঁচ শীর্ষ নেতা উখিয়ার ইনানীস্থ সী পার্ল রিসোর্ট ছেড়ে আজ বুধবার কক্সবাজার শহরে অবস্থান করছেন। তারা বেলা ২টার দিকে শহরের সাগরপারের একটি হোটেলে উঠেছেন।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা ও যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ এবং সারজিসের স্ত্রী হোটেল থেকে বের হন। তারা শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে মেরিন ড্রাইভের দরিয়ানগর সৈকতে নামেন। তবে সেখানে হাসনাত আবদুল্লাহকে দেখা যায়নি।

এরপর দরিয়ানগর সৈকতে ফেসবুক লাইভে আসেন সারজিস আলম।

এর আগে, দুপুর পৌনে ১টায় এনসিপি নেতারা উখিয়া উপজেলার ইনানীস্থ সী পার্ল রিসোর্ট এন্ড স্পা হোটেল ত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ।

পাঁচ সদস্যের এনসিপির শীর্ষ নেতারা দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে পৌঁছান। পরে সেখানে শালিক রেস্তোরাঁ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে খাবার খান। এসময় সেখানে এনসিপির কক্সবাজারের স্থানীয় কয়েকজন নেতা উপস্থিতি ছিলেন।

খাবার শেষে বিকেল ৩টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টসংলগ্ন অভিজাত হোটেল প্রাসাদ প্যারাডাইজে ওঠেন।

লাইভে সারজিস আলম দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘এনসিপির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের মানুষের সামনে ২৪ দফার ইশতেহার দেওয়া হয়েছে। এই ২৪ দফার মধ্যে ২১ নম্বরে বলা হয়েছে জলবায়ু সহিষ্ণুতা এবং নদী ও সমুদ্র রক্ষার কথা।

তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশাল সম্ভাবনার জায়গা এই সমুদ্র। এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, কিভাবে এই সমুদ্রকে, আমাদের বায়ো ডাইভারসিটিকে রক্ষা করতে পারি; সমুদ্র তীরবর্তী মানুষের টেকসই জীবনধারণ কিভাবে নিশ্চিত করতে পারি। আমাদের আশঙ্কা অনেক বাড়িঘর সমুদ্রে বিলীন হতে পারে। সে জন্য আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং সেই জায়গায় সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। সমুদ্রকে সম্পদে পরিণত করার তাগিদ দিয়ে সারজিস বলেন, ‘আমরা দেখছি কক্সবাজারের যেখানে-সেখানে ভবন তোলা হচ্ছে। কোনো ব্যবস্থাপনা নেই। যেখানে-সেখানে জমি দখল করছে। সরকারি কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে অবৈধভাবে জমি লিজ নিচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘এই অব্যবস্থাপনা থেকে আমাদের পর্যটনকেন্দ্রগুলোকে রক্ষা করা প্রয়োজন। আমরা এনসিপির পক্ষ থেকে পরিবেশ সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাই।’

এদিকে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা কক্সবাজার অবস্থান করার খবরে গণমাধ্যমকর্মীরা হোটেল প্রাসাদ প্যারাডাইজে জড়ো হন। পাশাপাশি এনসিপি নেতাদের শহরে অবস্থান করার খবরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সাদা পোশাকে অবস্থান নিয়েছেন।

কক্সবাজারের স্থানীয় এনসিপির নেতারা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় নেতারা আজ কক্সবাজার অবস্থান করবেন নাকি ছেড়ে যাবেন এ ব্যাপারে কিছুই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, এনসিপি নেতারা কখন ফিরে যাবেন তা জানাননি।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে দলের এই পাঁচ নেতা কক্সবাজার ভ্রমণে আসার কারণ জানতে চেয়ে আজ দুপুরে এনসিপি কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। তাদেরকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

রাত সোয়া ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় তাদের হোটেলে ঢুকতে দেখা যায়।

দরিয়ানগর সৈকত,এনসিপি,ইনানী
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত