ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

‘শেখ পরিবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবায়ন করতে দেয়নি’

‘শেখ পরিবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবায়ন করতে দেয়নি’

ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে, কারণ ইতিহাস কখনো ক্ষমা করে না। আজকের আওয়ামী লীগ তাদের কুকর্মের জন্য কঠোর সমালোচনার মুখে, তবু তারা অনুশোচনা করে না। তারা আকাশ-কাশুম স্বপ্ন দেখে, পরাশক্তি ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসতে চায়, কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়ন হবে না — মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের বিপ্লব লুটেরাদের লুটপাটের জন্য হয়নি। বিপ্লবের ফলশ্রুতিতে নতুন কোনো লুটেরা শ্রেণি এই দেশ দখল করে লুটেপুটে খাওয়ার সুযোগ পাবে না। যারা জীবন দিয়ে দেশকে মুক্ত করেছেন, তাদের রক্তের প্রতি আমরা বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারি না। এজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া কলেজ অডিটোরিয়ামে বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মতিন চৌধুরীর ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্বরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আব্দুল মঈন খান আরও বলেন, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জিম্মি করে অর্থ পাচার ও লুটপাট করেছে শেখ পরিবার। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবায়ন করতে দেননি। তাদের শাসনামলে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং গনতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি দল গঠন করে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করবে।

বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না, বরং ধৈর্য্যের রাজনীতির শিক্ষা দেয়। সহনশীলতা ও ভাতৃত্বের বন্ধন গড়াই বিএনপির লক্ষ্য। সরকার গঠনের পর অতীতের মতো নীতির সঙ্গে আপোষ হবে না, অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

তিনি বলেন, যদি কেউ অন্যায় বা দুর্নীতি করে, তাহলে শহীদের রক্ত বৃথা যাবে। তাই আমাদের দেশের মানুষের প্রত্যাশার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।

ড. মঈন খান আরও বলেন, আমাদের রাজনীতি হবে একতাবদ্ধ, মিলেমিশে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করবে। আওয়ামী লীগের হিংসা, দমন-পীড়ন, মামলা ও হামলার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করে শান্তির রাজনীতি গড়ে তুলতে হবে যা মানুষের কল্যাণে হবে।

তিনি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মতিন চৌধুরীর স্মৃতিচারণ করে বলেন, রূপগঞ্জ ও পূর্বাচল উপশহরের আধুনিকায়নের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন তিনি। এলাকার মানুষ প্রথমে পূর্বাচলকে প্রত্যাখ্যান করলেও আজ এটি আধুনিক শহরে পরিণত হয়েছে। তথাপি উপজেলা কোনো স্থাপনায় মতিন চৌধুরীর নামফলক বা স্মৃতিচিহ্ন নেই, যা তিনি দুঃখের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেন।

স্বরণসভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মর্নির সভাপতিত্বে এবং জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম ইমনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নাসির উদ্দীন, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, জেলা কৃষক দলের সভাপতি শাহিন মিয়া, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হামিদুল হক খান, তারাবো পৌর যুবদলের সদস্য সচিব কাজী আহাদ, জেলা ছাত্রদলের নেতা আবু মোহাম্মদ মাসুম প্রমুখ।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা,শেখ পরিবার,আ. মঈন
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত