
যশোরের শার্শায় টানা বর্ষণ ও ভারতের ইছামতি নদীর উজানের প্রভাবে সীমান্ত এলাকার বহু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে রয়েছে ভবানিপুর, দাদখালী, রুদ্রপুর, গোগা বিলপাড়া, পুটখালি, দৌলতপুর, বাইকোলা এবং ইছামতি নদী সংলগ্ন ভাঙা ভেড়িবাঁধ, নষ্ট সুইচগেট এলাকা। এসব স্থানে পানিবন্দী মানুষের বাড়িঘর পরিদর্শন করেছেন উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
বুধবার বিকেলে উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে তারা প্লাবিত এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখেন। পরিদর্শন শেষে দাদখালী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রবিউল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম বাবু ও সালাউদ্দীন আহম্মেদ।
বক্তারা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীরা তৃণমূল পর্যায়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছেন এবং গরিব-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে পানিবন্দী মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখতে এবং সান্ত্বনা দিতে তারা এসেছেন।
তারা অভিযোগ করেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার কাগজ-কলমে বরাদ্দ দেখিয়ে কাজ না করে টাকা আত্মসাৎ করেছে। বন্যাকবলিত মানুষের জন্য কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি, যার প্রমাণ এই এলাকার করুণ অবস্থা।
বক্তারা আশ্বাস দিয়ে বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি এ এলাকায় মজবুত ও টেকসই ভেড়িবাঁধ নির্মাণ, গরিব ও গৃহহীন মানুষের পুনর্বাসনসহ সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং তার বার্তা পৌঁছে দিতেই আজকের এই সফর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল মিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আলী বিশ্বাস, তাজউদ্দীন আহমেদ, বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এএইচএম আসাদুজ্জামান মিঠু, শেখ নাছির উদ্দীন প্রমুখ।