ঢাকা মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নিম্নমানের কাজের অভিযোগ, পীরগঞ্জে নদীর বাঁধে ভাঙন

নিম্নমানের কাজের অভিযোগ, পীরগঞ্জে নদীর বাঁধে ভাঙন

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের আখিরা শাখা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই ধসে পড়তে শুরু করেছে। গত সপ্তাহ থেকে এ ভাঙন দেখা দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৬ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে ‘রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার নদী তীর সংরক্ষণ, ছোট নদী, খাল-বিল পুনঃখনন ও জলাবদ্ধতা নিরসন’ শিরোনামে একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়। সে অনুযায়ী আখিরা শাখা নদীর তীর সংরক্ষণে চতরা হাট এলাকায় ৮০০ মিটার বাঁধ নির্মাণ ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শুরু হয়। এ জন্য বরাদ্দ হয় ৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাজ শুরু হয়ে একই বছরের ৩০ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে। এ কারণে শুরু থেকেই মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, নিম্নমানের কাজ, দুর্বল মনিটরিং এবং যথাযথ ডাম্পিং ছাড়া বর্ষার মধ্যে ব্লক বসানোর কারণে বারবার ভাঙন হচ্ছে।

চতরা এলাকার গফুর মিয়া বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নদীর বাম পাশের প্রায় ২০০ মিটার ব্লক দুইবার ধসে পড়েছে। ঠিকাদারের লোকজন সাথেসাথেই মেরামত করলেও মূল সমস্যার সমাধান হয়নি। নদীর পানিতে ব্লক ডাম্পিং নেই, সে কারণেই ভেঙে যাচ্ছে।’

একই এলাকার আশরাফুল ইসলাম জানান, ‘জোড়াতালি দিয়েই চলছে নদীর সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ। বর্ষার মৌসুমে কাজ শুরু করায় সমস্যা বেড়েছে। ব্লকের কাজে নদীর বালুমাটি ব্যবহার করা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে অনেক জায়গার ব্লক। এছাড়া বেডে অসমানভাবে ইটের খোয়া বিছানোয় কোথাও দেড় ইঞ্চি, কোথাও আড়াই ইঞ্চির ওপর ব্লক বসানো হয়েছে। ফলে তা ভেঙে ও ধসে পড়ছে।’

এ বিষয়ে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, ‘ওখানকার কিছু কাজ দেবে গেছে। এজন্য ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ডিফেক্ট লাইবেলিটিজ প্রিয়ড এক বছর থাকে। এই সময়ে যে কোনো সমস্যা হলে ঠিকাদার তার খরচে ঠিক করে দেবে।’

নদীর বাঁধে ভাঙন,পীরগঞ্জ,নিম্নমানের কাজ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত